নিম্নমানের নির্মাণ কাজ বন্ধ করলো এলাকাবাসী

দুর্গাপুর (রাজশাহী) সংবাদদাতা: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পালশা পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে কালভার্ট পর্যন্ত ৪৬০ ফুট রাস্তা আরসিসি-করণের কাজে নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহারের এই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার কাজ বন্ধ কয়ে দেয় এলাকাবাসী। তবে শনিবার (৩ অক্টোবর) আবারও নির্মাণকাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ ।

বর্তমানে কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর মাঝে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিম্ন মানের কাজ নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাস্তা ঢালাই শুরু হয়। এ সময় নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা এর প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তারপরও শ্রমিকেরা কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন । পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর তোপের মুখে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন শ্রমিকেরা। এরপর গত শনিবার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রেজাউল ইসলামের উপস্থিতি আবার কাজ শুরু হয়। আবারও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে ফের কাজ বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে পালশা গ্রামের বাসিন্দা আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, রাস্তায় একেবারেই নরম, তিন নম্বর ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছিল। হাত দিয়েই ভাঙা যাচ্ছিল নরম ইটগুলো। এমন অনিয়ম দেখে বুধবার এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে নানান জায়গা অভিযোগ দেওয়া করা হয়েছে। তারপরও গতকাল এক ইউপি দের সদস্যের উপস্থিতিতে আবার নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। তবে কিছুক্ষণ পরই এলাকাবাসীর ক্ষোভে কাজ বন্ধ করে এলাকাবাসী।

এদিকে, সড়কের কাজটি কোনো প্রতিষ্ঠান করছে জানতে চাইলে অনীহা প্রকাশ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সচিব জসিম উদ্দিন বলেন, ইউপির এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ৪৬০ ফুট রাস্তা আরসিসি-করণের কাজ হচ্ছে। বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। কাজটি ইউপি চেয়ারম্যান নাকি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করছে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান তিনি।

এর আগে বুধবার নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল বলেছিলেন, রাস্তার কাজটি একজন ঠিকাদার করছেন। তবে তাঁর নাম তিনি জানেন না। গত শনিবার আবার ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুলকে মোবাইলে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেনি।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছিলাম। তারপর ওই ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

ইউকে/এএস