নারীর শরীরে ডায়াবেটিসের প্রভাব কেমন?

লাইফস্টাইল বিভাগ: ডায়াবেটিস রোগটি মূলত ‘ইনসুলিন’ নামক হরমোনের সমস্যা। বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রতিবছর লাখ লাখ রোগী আক্রান্ত হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি এ ব্যাধিতে। ডায়াবেটিসের ফলে নারী-পুরুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ডায়াবেটিসের কিছু নির্দিষ্ট প্রভাব থাকে। যা কিনা নারী-পুরুষের ভেদে এর কিছু লক্ষণ কিছুটা আলাদা হয়ে থাকে।

কথায় বলে নারীর শরীরে সবসময়ই রোগ একটু চাগার বেশি দেয়। সন্তান জন্মদানের পর থেকেই নারীরা ব্লাড সুগারের কারণে ক্লান্তিবোধ অনুভব করে থাকেন।

আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা. লভনীত বাত্রা বলেন, ডায়াবেটিসের বেশ কিছু প্রভাব নারীর শরীরে লক্ষণ আলাদা হয়ে থাকে। যেকোনো বয়সীর মানুষ এ রোগ আক্রান্ত হতে পারে। তবে, নারীদের শরীরে এর প্রভাব কিন্তু তুলনামূলকভাবে বেশি! এর প্রভাবে নারীদের কিডনি ও হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে। ডায়াবেটিসের বেশ কিছু লক্ষণের মধ্যে যেগুলো নারীর শরীরে বেশ সাধারণ ইউরিনারি ইনফেকশন, পিসিওএস, হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরানো এবং হাতের সঙ্গে পায়ের পাতায় কোনো ধরনের অনুভূতি না হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।

নারীদের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সংযোগ বোঝাতে গিয়েই বেশ কিছু বিষয় তিনি উল্লেখ করেছেন।

নারীর শরীরে ডায়াবেটিসের কারণে হার্টের সমস্যা ভীষণ বেড়ে যায়। বেশিরভাগ নারীই অল্প বয়সে মৃত্যুর কবলে ঢলে পড়েন। কার্ডিওভাসকুলার রোগই কাল হয়ে দাঁড়ায়।

৫০ এর নিচে যাদের বয়স তাদের এক ধরনের অ্যালার্জি জাতীয় রোগের সৃষ্টি হয়। এর থেকে এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক পর্যায় পৌঁছে যায়।

ইউরিনারি ইনফেকশন খুব স্বাভাবিক বিষয়। ইউরিনের সঙ্গেই হঠাৎ করে রক্ত দেখা দিলে শিগগিরই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

রক্তসঞ্চালন এমনকি এতে রক্ত জমাট বাধার প্রভাবে ভীষণই সমস্যা বেড়ে যায়। ফলত কিডনির সমস্যা দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক।

অন্ধত্ব ও মানসিক চাপ দুটিই এর প্রভাবে হতে পারে। তাই এখনই সতর্ক হতে হবে সবাইকে।

অনিয়মিত ঋতুচক্র এর কারণে হতেই পারে। তাই রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে।

ইউকে/এএস