রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার পদক্ষেপ প্রশংসনীয় : সুইস রাষ্ট্রদূত

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে তার সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার সাক্ষাৎকালে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, জলবায়ু ইস্যু, রোহিঙ্গা ইস্যু, নারীর ক্ষমতায়ন, আসন্ন প্রি-কপ সম্মেলন প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁকে ‘এসডিজি প্রগেস এওয়ার্ড’-এ ভূষিত করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সারা দেশের মানুষকে কভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনতে নিরলস কাজ করছে সরকার।

সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বাংলাদেশের সাথে সুদৃঢ় কূটনৈতিক সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা স্মরণ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপসমূহ প্রশংসনীয়। এ সময় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, তথ্য অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন ২০২১’ বাস্তবায়নের জন্য সংসদ ভবনকে ভ্যান্যু হিসেবে প্রস্তাব উপস্থাপন করলে স্পিকার সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে সার্বিক মানব উন্নয়নে ৬ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তথ্য অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় সরকার সফল হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে দেশের চলমান অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়, যার উত্তরণে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। এসময় ইতালির রোমে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন প্রি-কপ সম্মেলনে সংসদীয় প্রতিনিধিদিলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে সুইজারল্যান্ডের ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা করেন। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

ইউকে/এএস