রাজশাহীতে হঠাৎ র‌্যাপিড টেস্ট, সংক্রমণের হার ৯ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে করোনার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে কী না এবং সংক্রমণের হার কেমন তা জানতে বিশেষ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে শুরু করা হয়েছে। রােববার (৬ জুন) মহানগরীর পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ এবং জনবহুল স্থানে এই টেস্ট করা হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই টেস্ট চলে। এতে মােট ২৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ২৭ জন করােনা পজিটিভ শনাক্ত হন। অর্থাৎ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে সংক্রমণের হার ৯ শতাংশ।

একযােগে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, লক্ষ্মীপুর মােড়, সিঅ্যান্ডবি মােড়, হড়গ্রাম বাজার ও তালাইমারিতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম চলে। মহানগরীর সাহেব বাজার জিরােপয়েন্টে রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগ করােনা টেস্ট কার্যক্রম শুরু করে।

এসময় রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম, রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার, মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া জোন) মো. সাজিদ হোসেনসহ রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তা এবং স্বাস্থকর্মীরা সেখানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় পথচারী ও ভ্রাম্যমাণ জনসাধারণের কাছ থেকে নমুনা নিয়ে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। এই পরীক্ষার মাত্র ৭ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের ফলাফল দিয়ে দেওয়া হয়। এর জন্য কাউকে পিসিআর ল্যাবে নমুনা দেওয়ার মত বিড়ম্বনা এবং ফল পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। ফলে মহাগরবাসী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্তত সিটি করপোরেশন এলাকায় এই কার্যক্রম নিয়মিত করার দাবি জানান।

কার্যক্রম সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজশাহী পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, টেস্টের বেশিরভাগ নেগেটিভ এসেছে। এ শনাক্তের হার বলে দেয় মহানগরীতে এখনও করোনার প্রকোপ কম।আমরা আশাবাদী জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মানলে করােনা প্রতিরােধ করা সম্ভব হবে।

রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন , কী পরিমাণ সংক্রমণ আছে সেটা দেখতেই মূলত এই কার্যক্রম। সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে এর মাধ্যমে তার কিছুটা ধারণা পাওয়া গেল।

ইউকে/এসই/এসএম