নিজের বসতবাড়ি ও জমি ফিরে পাওয়া দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাগমারায় নিজের বসতবাড়ি ও জমি ফিরে পাওয়া দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একজন ভুক্তভোগি আপেল মামুদ (রাজ্জাক)। এসময় তিনি দাবি করেন- স্থানীয় রেজাউলের জ্বীন বাহিনীতে অতিষ্ট হয়ে তিনি দীর্ঘ ২৫দিন থেকে ঘর ছাড়া হয়েছেন। তিনি ৪ নম্বর বড় বিহানালীর মৃত রিয়া উদ্দিনের ছেলে। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

আপেল মামুদ জানান- সেখানে মোট জমি ৫৪ শতাংশ। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ আপেলের। এছাড়া কিছু জমি প্রতিবেশী আবদুল আজিজের। আব্দুল আজিজ নিজের প্রয়োজেন কিছু জমি বিক্রি করেছেন। এর পরে তার জমি কম হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি আপেলের ২৭ শতাংশ থেকে নিয়ে নিজের জমি পুরোন করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আপেল নিজেই। এসময় তিনি জানান, বর্তমানে আমি নির্যাতনের শিকার। আমার প্রতিপক্ষ আব্দুল আজিজ আমার হক সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। আমি বিষয়টি গত ২২ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও এর সহযােগীতা চাইলে তিনি বর্তমান চেয়ারম্যানকে ফোন করে বিষয়টি দেখতে বলেন।

চেয়ারম্যানের সঙ্গে যােগাযােগ করলে তিনি তার দুদিন পরে (২৪ জুলাই) এলাকার গন্দ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে আসেন। আব্দুল আজিজ এবং মাছের আড়ৎদার নয়া নেতা রেজাউল করিম রেজা জমি দখলে সহযোগিতা করছেন। আমি গত ২৪ আগস্ট কোর্টে মামলা করার পর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আমার মামলার কাগজপত্র পর্যালােচনা করে সম্পত্তিতে স্থিতি অবস্থা বায় রাখার জন্য ১৪৪ দন্ড বিধি ধারা প্রদান করেন। (মামলা নং- খাগমারা ৪৭৯ P১১ ধারাঃ- ১৪৪ কার্য কি আদেশ।)

আমি উক্ত আদেশ যথাযথভাবে পুলিশের কাছে দাখিল করি। আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজা প্রতিপক্ষকে সহযােগীতা করে আমার সম্পত্তিতে জোড়পূর্বক সীমানা প্রাচীর ও দুইটি টিন ঘর এবং রাস্তা নির্মাণ কাজে প্রত্যক্ষ সহযােগীতা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান- আমি ২৫ দিন থেকে বাড়ী ছাড়া। আমার ছেলে মেয়ে এবং স্ত্রী নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানায় আমার শক্তর বাড়ী সেখানে অবস্থান করছে। আমার ছেলে মেয়ে পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত। আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি। সকল অপরাধী ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি মহােদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিষয়টি নিয়ে আব্দুল আজিজের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেনি।

এবিষয়ে রেজাউল করিম রেজা জানান- ‘জমি একই দাগের। তারা দুজনের চাচাতো ভাই। এই জমির ৮ শতক মসজিদে দেওয়ার কথা ছিলো। আব্দুর রাজ্জাক বলেন- আমি জমি দেব না। এসব বিষয় নিয়ে সমস্য তাদের।

আপনার বাহিনী আপেলকে হুমকি দিয়েছে এমন কথার উত্তরে তিনি বলেন- আমার কোন বাহিনী নেই। আপেলরাই এলাকায় বাহিনী তৈরি করে সুসংগঠিত হচ্ছে। সে সর্বহারা দলের লোক। তিনি বলেন- ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে প্রার্থী ছিলাম। সামনে ভোট, আমার সাথে লোকজন চলা ফেরা করবে এটাই স্বাভাবিক।’

বিষয়টি নিয়ে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক হোসেন জানান- আপেল মিথ্যা কথা বলছে। আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি।

ইউকে/এএস