নাটোর সংবাদদাতা: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় তৃতীয় স্ত্রীর নির্যাতনে আহত স্বামী মো. বরাত আলী (৬৭) মারা গেছেন।মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বরাত আলী বাগাতিপাড়ার তালতলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বরাত আলীর তৃতীয় স্ত্রী লালপুর উপজেলার ধুপইল গ্রামের সাদের আলীর মেয়ে কানিজ ফাতেমার সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল।
তিনি জানান, গত ২২ অক্টোবর সকালে বরাত আলী তার স্ত্রীর বাবার বাড়িতে অবস্থানকালে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীর নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়েন বরাত আলী। তখন তাকে দয়ারামপুর কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি জানান, অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে ২ অক্টোবর বাড়ি ফিরে আসেন বরাত আলী। পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দয়ারামপুর এলাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর বাড়িতেই তার চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হলেও ঘটনাস্থল লালপুর হওয়ায় সেখানে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাগাতিপাড়া থানায় এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ওসি মো. ফজলুর রহমান বলেন, বিষয়টি তারা জেনেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউকে/এএস