মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা: অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা। সাধারণ পণ্য বোঝাই ট্রাক, ছোট গাড়ি (প্রাইভেটকার) ও যাত্রীবাহী পরিবহন নৌপথ পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় হাজারো যানবাহন। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি (প্রাইভেটকার), যাত্রীবাহী পরিবহন ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে হাজারো যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে বিআইডব্লিউটিসি ও পুলিশ প্রশাসন। পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার দুটি ট্রাক ট্রার্মিনালে ৪ শতাধিক, ওজন স্কেলের সামনে থেকে ফায়ার সার্ভিসের অফিস পর্যন্ত সিরিয়ালে রয়েছে ৩ শতাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক এছাড়া ঢাকা আরিচা মহাসড়কের উথুলী সংযোগ মোড়ে আরও আছে দুই শতাধিক সাধারণ পণ্য বোঝাই ট্রাক নৌপথ পারের অপেক্ষায়। অন্যদিকে যাত্রীবাহী পরিবহন নৌপথ পারের অপেক্ষায় ৮০টি এবং ছোট গাড়ি (প্রাইভেটকার) রয়েছে আরো ৫০টির মতো।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের কিছুটা চাপ থাকায় উথুলী সংযোগ মোড়ে বেশকিছু ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। ঘাট এলাকায় বাড়তি চাপ কমে গেলে আটকে থাকা ট্রাকগুলোকে পাটুরিয়া ঘাটের অভিমুখে ছেড়ে দেওয়া হবে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা (টিআই) শামিম বলেন, ঘাট এলাকায় বেশ ট্রাকের চাপ রয়েছে। এ কারণে সাধারণ পণ্য বোঝাই ট্রাক পারাপার বন্ধ তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ও ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যাত্রীবাহী পরিবহনের চাপ থাকায় তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে এবং এই চাপ কমে এলে পুনরায় সাধারণ পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোকে সিরিয়াল অনুয়ায়ী নৌপথ পার করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, যেহেতু আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন সেজন্য বাড়তি কিছু যানবাহনের চাপ পড়েছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ছোট-বড় সব মিলিয়ে কয়েক শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে ২০টি ফেরির মধ্যে ১৮টি দিয়ে মানুষ ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে বাকি দুটি ফেরি শাহ আলী ও ঢাকা ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটি জনিত কারণে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাট সংলগ্ন ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতের জন্য রাখা হয়েছে।
ইউকে/এএস