নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে উঠেছে শীতকালীন সবজি । সেখানেও আগুন । ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে শিম, গাজর ১২০ টাকা। বরাবরের মতো নানা অজুহাত বিক্রেতাদের।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভোক্তাদের স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। এ সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হচেছ ৬৫ টাকা কেজি যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১৫ টাকা বেশি। ৪০ টাকা কমার পর কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৬০ টাকায়। করলা ৮০ টাকায়, পটল ৪০ টাকা, বগেুন ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০, করলা ৮০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। বাজারে উঠেছে শীতকালীন সবজি। সেখানেও আগুন।
ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। আর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে। ব্রয়লার মুরগির মতো পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ২৯০থেকে ৩০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহ আগে এ মুরগির কেজি বিক্রি হয় ২৬০ থেকে ২৭০টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। দাম বাড়া প্রসঙ্গে মুরগি ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমানে সবদিকে অনুষ্ঠান চলছে। যেমন চাহিদা আছে তেমন সরবরাহ নেই। মুরগি কম, তাই দাম বেশি।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। মানভেদে এক কেজি গাজর ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে । টমেটো কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে শীতের আগাম সবজি শিমের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। এখন শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এর সঙ্গে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহ আগে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের দাম কমে এখন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ না বাড়লে সবজির দাম কমবে না বলে জানান বিক্রেতারা।
এদিকে দেশের নদনদীতে ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। আর এতেই বাজারে কমেছে অন্যান্য মাছের সরবরাহ। যার প্রভাব পড়েছে দামেও। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি, কাতল মাছ ২৭০ টাকা কেজি যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা কম ।
পাঙ্গাস মাছ ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১৯০ টাকা । এ সব মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ।
এদিকে বেড়েছে সব ধরনের নদীর মাছের দাম। বিক্রেতারা বলেন, ইলিশ মাছ আশা শুরু করলেই আবার দাম কমে যাবে। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় নদীর মাছের দাম বেড়েছে।
ইউকে/এএস