লাইফস্টাইল বিভাগ: করোনাকালে সুরক্ষিত থাকতে মাস্ক এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। নিজের এবং অন্যের স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা ভেবে বাইরে গেলে আমাদের মাস্ক পরতে হচ্ছে। কিন্তু এই মাস্কের অনেক ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। মাস্ক থেকে অনেকের ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। আবার কাপড়ের মাস্ক বা ডিজপোজেবল মাস্ক, এন-৯৫ মাস্ক এবং ফেসশিল্ড থেকে অস্পষ্ট দৃষ্টি এবং সাধারণ অস্বস্তি থেকে শুরু করে নিঃশ্বাসে অসুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। তবে সমস্যা যেমন আছে, এর সমাধানও আছে।
দীর্ঘদিন মাস্ক পরার জন্য ব্রণের সমস্যায় ভোগে অনেক মানুষ। ত্বকের পোরসগুলোতে তেল, ময়লা জমে হোয়াইট হেডস বা ব্ল্যাকহেডস তৈরি হয়। এ থেকে মুখে লালভাব তৈরি হয়, যা পরে ব্রণের আকার ধারণ করে। আবার মুখের ত্বক খুবই সংবেদনশীল হওয়ায় মাস্কের জন্য ত্বকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা থেকেও লাল র্যাশ এবং চুলকানি ও ফোসকা পড়তে পারে। নিয়মিত মাস্ক পরলে ফলিকলে সংক্রমণ হয়ে ফলিকিউলিটিস নামক রোগ হতে দেখা যায়। আমাদের এ ক্ষেত্রে অনেক সময় চুলকানি অথবা ব্যথাও হতে পারে। এ ছাড়া খুব আঁটসাঁটভাবে মাস্ক পরলে আমাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং মাস্কের কারণে কানেও ব্যথা হতে পারে৷
মাস্ক থেকে ত্বক ভালো রাখতে অর্থাৎ ব্রণ হওয়া থেকে রক্ষা পেতে আমাদের ভালোভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি৷ তাই জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি বিষয়-
১. ত্বকের জন্য পিএইচ-বান্ধব মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।
২. একটি পিএইচ ব্যালান্সড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে, যা খুব তৈলাক্ত নয়।
৩. অয়েল এবং মেক-আপ ত্বকের ছিদ্রগুলো আটকে দেয়, যা থেকে বিভিন্ন সময় ব্রণ হতে দেখা যায়, তাই ভালোভাবে মেকআপ তুলতে হবে।
৪. মুখের সঙ্গে মানানসই এবং মুখকে ঠিকমতো ঢেকে রাখবে এমন মাস্কই ব্যবহার করা উচিত। প্রতিবার ব্যবহারের পর মাস্ক পরিষ্কার অথবা পরিবর্তন করা জরুরি।
৫. একটানা দীর্ঘক্ষণ মাস্ক না পরার চেষ্টা করুন। বাড়িতে থাকাকালীন বা ভিড়ে না থাকলে প্রত্যেক ৪ ঘণ্টা পর মাস্ক খুলে খোলা হাওয়ায় নিঃশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
৬. ত্বকের সমস্যা বেশি হলে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
ইউকে/এএস