নিজস্ব প্রতিবেদক: শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে প্রতিমা বিসর্জনের সময় গান বাজানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। এছাড়া পূজা শুরুর পর থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত মানতে হবে আরও কিছু জরুরি বিধিনিষেধ। এসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থাও।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানান।
রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আরএমপির পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মেট্রোপলিটন এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এ সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য নেতাদের আহ্বান জানান।
পূজামণ্ডপে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও বহির্গমণ পথ রাখার এবং পূজামণ্ডপে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা আলাদা স্বেচ্ছাসেবক রাখার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পূজা কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন এবং ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার জন্য নির্দেশ দেন, যাতে করে দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে পূজামণ্ডপ দর্শন করতে পারেন। প্রতিটি পূজামণ্ডপ কমিটিকে সব ধর্মের সমন্বয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের জন্যও আহ্বান জানান।
দুর্গাপূজার উপলক্ষে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে- বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনকালে কোনো ধরনের শোভাযাত্রা, মেলা কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠান, হাউজি কিংবা জুয়ার আসরের আয়োজন করা যাবে না। এমনকি সব ধরনের অস্ত্র বহন, আতশবাজি, পটকা ফুটানো, বিস্ফোরকদ্রব্য বহন, সংরক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবহার এবং পূজা বিসর্জনের সময় উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, গান-বাজনা এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য কেনা-বেচা নিষিদ্ধ থাকবে।
আরএমপির পিওএম কনফারেন্স অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) সুজায়েত ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) রশীদুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেন। এছাড়া আরএমপির ঊর্ধ্বতন পুলিশ কমকর্তাবৃন্দ, র্যাব-৫, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের প্রতিনিধিসহ সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন ও পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সভাপতি অনিল কুমার সরকার বক্তব্য দেন।
ইউকে/এএস