নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর মণ্ডপে মণ্ডপে নানা উপাচারে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। ঢাকে পড়েছে কাঠি, শঙ্খের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রতিটি পূজামণ্ডপ। আমন্ত্রণ আর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবে চলছে ষষ্ঠীবিহীত পূজা।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহীত পূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এর সঙ্গেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গেছে।
রাজশাহী মহানগরীর ঘোড়ামারা এলাকায় থাকা প্রতিশ্রুতি পূজামণ্ডপের ঠাকুর অরুপ কুমার ভৌমিক জানান, সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে দুর্গোতিনাশিনী দশভুজা দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ভক্তদের ভক্তি ও পূজার আনুষ্ঠানিকতায় মাতৃরূপে দেবী দুর্গা অধিষ্ঠিত হবেন মণ্ডপে মণ্ডপে। দেবী দুর্গার আগমনে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা।
তিনি আরও জানান, রাজশাহীর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে চলছে উৎসবের আমেজ। দেবীর বোধনকে কেন্দ্র করে আজও সকাল থেকে মহানগরীর অনেক মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে আসা হচ্ছে।
সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী- এবার মহালয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে ৬ অক্টোবর। ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে বোধন ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। পরদিন ১২ অক্টোবর মহাসপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠান। ১৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী এবং ১৪ অক্টোবর মহানবমী পূজা। ১৫ অক্টোবর মহাদশমী বা বিজয়া দশমী হবে। এদিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
পঞ্জিকামতে, দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে স্বর্গালোক থেকে পৃথিবীতে আসবেন। এর ফলে ঘটবে ফসল ও শস্যহানি। আর দেবী বিদায় নেবেন দোলায় চড়ে। এর ফল হচ্ছে মড়ক। এতে অনুমান করা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে।
রাজশাহী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ বলেন, রাজশাহীতে এবার ৪৫৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৭৫টি পূজামণ্ডপ রয়েছে রাজশাহী মহানগর এলাকায়। বাকি ৩৮১টি মণ্ডপ রাজশাহীর ৯ উপজেলায়।
তিনি আরও বলেন, এবারও করোনাভাইরাসের কারণে পূজামণ্ডপের আয়োজন অনেকটাই সীমাবদ্ধ থাকছে। হচ্ছে না শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ইউকে/এসএম