পূজার উপহার পচা আলু ইউএনওকে ফেরত

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দরিদ্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পচা আলু, চালসহ নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। সেই ​পচা আলুসহ নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করায় ত্রাণ গ্রহীতারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সোমবার (১১ অক্টোবর) ওই উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কালিরপাট মন্দিরের পূজারি ভানু রাম দাশ ক্ষোভে, দুঃখে পচা আলু চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিসে ফেরত দিয়েছেন।

অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার (বীর বিক্রম) নিম্নমানের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ না করে ত্রাণের মান যাচাই পূর্বক উপযুক্ত ত্রাণ বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

চিলমারী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক হতদরিদ্র হিন্দু পরিবারের মধ্যে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্বখাতের টাকা ব্যয় করে চাল ১০ কেজি, আলু ৩ কেজি, চিড়া ১ কেজি এবং আধা কেজি করে ডাল, চিনি, তেলসহ খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। সোমবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৬০টি পরিবারের মধ্যে ওই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সুবিধাভোগী রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ভানু রাম (৭০) ত্রাণ পেয়ে খুশি হলেও নিম্নমানের চাল আর পচা আলু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। পরে সেই পচা আলু উপজেলা চেয়ারম্যানকে দেখিয়ে তিনি এবং অপর একজন লাল চরণ আলুগুলো ইউএনও অফিসে রেখেই বাড়ি ফিরে গেছেন।

সুবিধাভোগী মুকুল চন্দ্র বলেন, ‘হামরা গরিব বলে কী মানুষ নই? নিম্নমানের চাল আর পচা আলু, সয়াবিন তেলের পরির্বতে পামওয়েল দিয়েছে। প্যাকেটও ঠিক মতো না করায় চাল-ডাল একসঙ্গে মিশে একাকার হয়ে গেছে’।

চিলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. সলিল কুমার বর্মণ দুঃখ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, হতদরিদ্র হিন্দু পরিবারগুলোর মধ্যে নিম্নমানের ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।

চিলমারী উপজেলা ইউএনও মাহবুবুর রহমান বলেন, ত্রাণে নিম্নমানের চাল ও সামগ্রী থাকার কথা নয়। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার (বীর বিক্রম) বলেন, নিম্নমানের চাল ও পচা আলু রয়েছে তা, জানতে পেরে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ত্রাণের মান যাচাই করে বাকিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

ইউকে/এএস