বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়ে আরও এক ধাপ এগিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন কেবল কমিশন থেকে অনুমোদন এলেই শুরু হয়ে যাবে কার্যক্রম। এক্ষেত্রে স্কুল থেকে চাহিদা নিয়ে সে অনুযায়ী নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন-জাতীয় পরিচয়পত্র ভোটার, তালিকা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগ সংক্রান্ত কমিটি ১৮ বছরের কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ করে এনআইডি দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এখন বিষয়টির ওপর কমিশন থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
সম্প্রতি কমিটির বৈঠকে সর্ব সম্মতিক্রমে পাঁচটি সুপারিশ আনা হয়েছে। যা এরই মধ্যে সিইসি কেএম নূরুল হুদাসহ সব নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই কমিশন বৈঠক থেকে অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে এনআইডি অনুবিভাগ।
সুপারিশগুলা হলো- (ক) ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে নিবন্ধন করা হবে; (খ) ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার আগে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের মধ্যে স্কুলশিক্ষার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন ফরম পূরণ করা হবে; (গ) প্রত্যেক স্কুলে পূর্ব চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিবন্ধন ফরম পূরণ করা হবে এবং প্রত্যেক স্কুল/মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রত্যয়ন দেবেন; (ঘ) ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের এবং ইতোপূর্বে নিবন্ধন কার্যক্রম থেকে বাদ পড়ছেন এমন নাগরিকদের নিবন্ধনের জন্য পল্লী অঞ্চলে ইউনিয়ন পরিষদ এবং শহর অঞ্চলে পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কার্যালয়ে নিবন্ধন ফরম পূরণ ও বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে এবং (ঙ) স্কুল পর্যায়ে ফরম পূরণের পর সংশ্লিষ্ট স্কুলে গিয়ে বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানন, তবে কমিশন অনুমোদন দিলেও এখনই বড় পরিসরে কাজ শুরু করা হবে না। এক্ষেত্রে তিনটি এলাকায় পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালিয়ে তার ফলাফলের ওপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরীক্ষামূলক নিবন্ধন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে পল্লী, শহর ও বিশেষ অঞ্চল (রোহিঙ্গা আছে যে সব এলাকায়) একটি করে মোট তিনটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইসি এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে দেশের সব বয়সীদের এনআইডি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই ছিল।
২০১৯ সালেও ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারীদের তথ্য নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সে সময়ও যাদের বয়স ১৬ বা তার ঊর্ধ্বে তাদের তথ্য নিয়ে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়ে গেছেন। বাকিরা কয়েক মাসের মধ্যেই ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। সেই সময় যারা নিবন্ধন করেছিলেন তাদের এনআইডি সরবরাহ চলমান রয়েছে।
বর্তমানে ইসির সার্ভারে ১১ কোটি ১৭ লাখ ভোটারের তথ্য রয়েছে।
ইউকে/এএস