বিজয়ায় মুক্তি পেল ‘চন্দ্রাবতী কথা’

বিনোদন বিভাগ: আজ মুক্তি পেয়েছে এন রাশেদ চৌধুরীর চলচ্চিত্র ‘চন্দ্রাবতী কথা’। রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত সম্ভার, সনি স্কয়ার মিরপুর, এসকেএস টাওয়ার মহাখালী, যমুনা ব্লকবাস্টার ও সিনেস্কোপ নারায়ণগঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।

এন রাশেদ চৌধুরী বলেন, প্রথমে ঢাকা ও আশপাশের সিনেপ্লেক্সগুলোতেই মুক্তি দেওয়া হলো ছবিটি। আমরা চাইছি এটা জেলা পর্যায়ের হলগুলোতেও যাক, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এই ছবিটি দেখুক। আমরা দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকার হল, জেলাগুলোতে চেষ্টা চালাচ্ছি ছবিটি মুক্তি দেওয়ার জন্য।

সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ম্যানগ্রোভ পিকচারস ও বেঙ্গল ক্রিয়েশনসের প্রযোজনায় ‘চন্দ্রাবতী কথা’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী দোয়েল ম্যাশ এবং চন্দ্রাবতীর প্রেমিক জয়ানন্দের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ।

সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়ার পর তারা সিনেমাটি আটকে রাখে এক বছরেরও অধিক সময়। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো ধরনের কর্তন ছাড়াই ছাড়পত্র পায় ‘চন্দ্রাবতী কথা’। এটি মূলত অসম্ভব প্রতিভাবান ও সংগ্রামী নারী চন্দ্রাবতীর সারা জীবনের একটি গল্প। তাই এর পরিধিও বড়। চন্দ্রাবতীর জীবনী দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে সিনেমাটিতে ওই সময়ের সামাজিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট, ঘটনা এবং পারফরম্যান্স স্টাইলও উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীতে চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো হলো। প্রদর্শনীতে প্রধান অথিতি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসিরুদ্দিন ইউসুফ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতা মানজারে হাসিন মুরাদ।

বাংলাদেশের প্রথম নারী কবি বলা হয় চন্দ্রাবতীকে। মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা এবং রামায়ণ তার অন্যতম সৃষ্টি। তবে তার সৃষ্টির চেয়ে ঢের নাটকীয় এবং একই সঙ্গে বিয়োগান্তক তার নিজের জীবন। ষোড়শ শতকের অসম্ভব প্রতিভাবান ও সংগ্রামী এই নারীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য এই ছবিটি।

চন্দ্রাবতীর জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের রিয়েল লোকেশনেই পুরো ছবি শুট করা হয়েছে। ছবিতে গ্রামের সাধারণ মানুষও অভিনয় করেছে বলে জানান নির্মাতা রাশেদ চৌধুরী। বিশেষ করে পালাকার বা বয়াতি- এ রকম চরিত্রগুলোতে সেখানকার গ্রামের মানুষই অভিনয় করেছে।

ইউকে/এএস