বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিক্রি করতে রাজি না হওয়াকেই ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে না পারার কারণ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ বিক্রি করে তো আমি ক্ষমতায় আসবো না, এটাই বাস্তব। আমার কথা হচ্ছে- নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পরে বিক্রি করবো।
আজ শনিবার (১৬ অক্টোবর) ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন এই সরকার প্রধান। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। এসময় তিনি বলেন, গ্যাস বেচতে রাজি হইনি বলে ২০০১-এ ক্ষমতায় আসতে পারিনি। বৃহৎ দুটি দেশ ও প্রতিবেশী দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারিনি বলে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।
এ সময় খাদ্য উৎপাদন ও কৃষির আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার-বীজ কৃষকের হাতের নাগালে পৌঁছে দিয়েছি। অথচ এ সার চাইতে গিয়ে আন্দোলন করায় ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে খালেদা জিয়ার সরকার। বিদ্যুৎ চাওয়ায় নয়জনকে হত্যা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যের চাহিদা পূরণে বিনা পয়সায় খাবার বিতরণ করছি। ১০ টাকায় চালের ব্যবস্থা করেছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে সহায়তা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ মঙ্গামুক্ত থাকবে। বাংলাদেশে আর কেউ যেন দুষ্কর্ম করে দুর্ভিক্ষ তৈরি করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করবো।
তিনি বলেন, কৃষিতে গবেষণার ফলে এখন অনেক দেশি-বিদেশি ফল, তরি-তরকারি উৎপাদন হচ্ছে। এখন ১২ মাস সব সবজি পাওয়া যাচ্ছে। অনেক বিদেশি ফল এখন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে, এটা কৃষিবিদদেরই অবদান। এক্ষেত্রে যত দূর সম্ভব আমরা সহযোগিতা দিচ্ছি। সার-বিদ্যুৎ সব ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইউকে/এএস