বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: সবার জন্য ‘উন্নত উৎপাদন, উন্নত পুষ্টি, উন্নত পরিবেশ ও উন্নত জীবন’ এই আহ্বান নিয়ে বিশ্ব খাদ্য দিবস- ২০২১ উদযাপিত হচ্ছে। ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ দ্রুত চূড়ান্ত করার দাবিতে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)-এর সহায়তায় ভার্চুয়াল মানববন্ধন করেছে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
আজ শনিবার ( ১৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কর্মসূচি পালিত হয়।
এই ভার্চুয়াল মানববন্ধনে অংশ নিয়ে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও পোস্টারসহ নিজেদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুড (বিএসএসএফ), বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশন, ফুড অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ (এফওবি)সহ বিভিন্ন সংগঠন, শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষ।
খাদ্যে শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতি হৃদরোগ এবং হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করেন। ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এসংক্রান্ত একটি প্রবিধানমালা প্রণয়নে কাজ করছে।
মানববন্ধনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, ‘তরুণদের মধ্যে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে। ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এর অন্যতম কারণ। তাই হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের বিকল্প নেই।’
প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘আমরা জেনেছি ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালাটি প্রয়োজনীয় ভেটিং শেষে এখন চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকলের জন্য ট্রান্সফ্যাটমুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করবে।’
ইউকে/এএস