লাইফস্টাইল বিভাগ: সাধারণ ফ্লু, সর্দি–জ্বর, বায়ুদূষণ, অ্যালার্জি, অ্যাজমার কারণে অনেক সময় আমাদের গলা খুসখুস করে, কাশি হয়। কাশি উপশমে ঘরোয়া চিকিৎসা খুবই কার্যকরী। করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পরও দুই-তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কাশি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা গ্রহণ করলে কাশি দ্রুত সেরে উঠবে।
বাসক পাতা
বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানি ছেঁকে নিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে কাশি উপশম হয়। প্রতিদিন সকালে এ পানি খেতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাসক পাতার রস খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।
তুলসী পাতা: তুলসী পাতা থেঁতো করে এতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দু–তিনবার খেলে কাশি ভালো হয়। তুলসী, আদা, লবঙ্গ, তেজপাতা, গুলমরিচ, দারুচিনি, কালোজিরা দিয়ে গরম মসলার চা খুবই উপকারী।
মধু: এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ মধু, অর্ধেকটা লেবুর রস আর সামান্য আদার রসের মিশ্রণ প্রতিদিন এক–দুবার খেতে হবে। এ মিশ্রণ কফ ও গলাব্যথা উপশমে সহায়তা করে। গলায় ব্যথা কিংবা খুশখুশে কাশিতে সব ধরনের সমস্যাতেই মধু বেশ উপকারী। এতে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাসের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। এতে শরীরের উপকারী অনেক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও রয়েছে। শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পেতে দিনে দুইবার করে গরম পানিতে দুই চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে গলা অনেকটাই আরাম পাবে।
আদা: অনেক অসুখ সারাতেই আদা কাজ করে। বিশেষ করে যেকোনো ধরনের সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকর। কাশি না কমলে বাড়িতেই আদা দিয়ে চা তৈরি করে দিনে একাধিকবার খেতে পারেন। আরাম পাবেন।
লবণ পানি: হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে মাঝে মধ্যে কুচিকুলি করতে হবে। লবণ জীবাণু তাড়াতে সাহায্য করে। সংক্রমণের কারণে শরীরে যে জীবাণু ঢুকেছে, তার সঙ্গে লড়াই করতে পারে লবণ। কয়েকদিন টানা কুলিকুচি করলে গলায় আরাম পেতে পারেন।
এছাড়াও গরম দুধে অল্প পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে খেলে তা কাশি উপশমে বেশ কাজে আসে।
ইউকে/এসএম