ক্রীড়া বিভাগ: অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ড বধ। আত্মবিশ্বাসের পারদটা চড়ছিল চড়চড়িয়ে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্নও উঁকি দিচ্ছিল অনেকের মনে। সেই অভিযানে প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা। স্কটল্যান্ড গতকাল ৬ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে ঘটিয়েছে অঘটন। অথচ লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৪১ রান। এত অল্প রান তাড়া করতে না পারার দায়টা ব্যাটারদেরই দিলেন অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ, ‘বোলাররা দুর্দান্ত বল করেছে। এই উইকেটে প্রতিপক্ষকে ১৪০ রানে বেঁধে রাখাটা কৃতিত্বের। কিন্তু ব্যাটাররা হতাশ করেছে। নিজেদের কাজটা করতে পারেনি তারা।’
টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ রান সাদামাটা স্কোর। সেমিফাইনালে স্বপ্ন দেখা কোনো দলের পক্ষে হেসেখেলে এটা তাড়া করা উচিত। অথচ বাংলাদেশের শুরুটাই হয়েছিল যাচ্ছেতাই। হতাশ করেছেন দুই ওপেনার। সৌম্য সরকার ৫ আর লিটন দাসও ফেরেন ৫ রানে। এই ধাক্কাটা কাটাতেই প্রথম ১০ ওভারে রানের চাকাটা সচল ছিল না সেভাবে। শেষ দিকে মেহেদী হাসান ও আফিফ হোসেন চেষ্টা করলেও অনেক দেরি হয়ে গেছে ততক্ষণে। ব্যাটিং নিয়ে তাই উদ্বিগ্ন বাংলাদেশি অধিনায়ক, ‘আমরা যদি ১৪০ রানই করতে না পারি তাহলে ব্যাটিং নিয়ে অবশ্যই উদ্বিগ্ন হতে হবে। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করব।’
আল আমরাত স্টেডিয়ামের উইকেটটা কি ব্যাটারদের জন্য কঠিন ছিল? স্কটল্যান্ডও তো থেমেছে কেবল ১৪০ রানে। মাহমুদ অবশ্য উইকেটের দোষ দেখছেন না, ‘উইকেটটা চমৎকার। আমাদের বোলাররা দারুণ করেছে। এই রানটা তাড়া করাই যেত। কিন্তু মাঝখানে একটা বড় রানের ওভার মিস করেছি আমরা। ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও ১৪০ পর্যন্ত যাওয়ায় ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। এর পরও ইতিবাচক থাকব আমরা। খুঁজে বের করব ভুলটা কোথায় হলো, এর পুনরাবৃত্তি করা যাবে না আর।’
বাংলাদেশি বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়ের্টজারও, ‘বাংলাদেশি বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। সত্যিই ওদের স্কিল উঁচুমানের। আমাদের গ্রিভস ছিল অসাধারণ। সবাই অবদান রাখতে পেরেছি কিছু না কিছু। এই জয়টা আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াবে আমাদের।’
ইউকে/এএস