এবার সালমার সঙ্গে গাইলেন ডন

বিনোদন বিভাগ: একের পর এক হিট গান গেয়ে শ্রোতামনে আলাদা আসনে সমাদৃত সময়ের আলোচিত এবং জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। গানে কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি লেখালেখিতে হাতটা তার বেশ। সুর তাল লয় নিয়ে খেলা করতে ভীষণ পছন্দ ডনের। তাই তো গানে কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি সুর এবং কথাতেও মুন্সিয়ানার পরিচয় মিলেছে তার। অবশ্য গানের কথা লেখা কিংবা সুর দেয়া ডনের জন্য নতুন ঘটনা নয়।

সুরের ভুবনে পা রাখার পর থেকেই এই কাজ অত্যন্ত দক্ষতা এবং সুনিপুণতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন। একক গান গেয়ে ইতোমধ্যে সুনাম কুঁড়ানো ডন এবার দ্বৈত সঙ্গীত নিয়ে আসছেন। যেখানে তার সঙ্গে সুরে সুর মেলাবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফোক সম্রাজ্ঞী সালমা। ২০০৬ সালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির তুমুল জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’-এর বিজয়ী সালমার সঙ্গে দ্বৈতে গাইবেন। কোনো নারী কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে এবারও প্রথম জুটি বাধলেন সুরের ভুবনে নতুন গানের পাখি ইকবাল বিন আনোয়ার ডন।

‘তুমি কিসের পাইকার বলো রে বন্ধু; খুচরা বুঝো না
ওই যে ভালোবাসা হয়না রে বন্ধু, পাইকারী বেচাকেনা
প্রেম বাজারে আমি বন্ধু বড় মহাজন
জানো তো খুচরা ছাড়া মিলবা না রে মন’

এই গানেই সালমার সঙ্গে জুটি বাধতে দেখা যাবে ডনকে। আধুনিক-ফোক ঘরনার গানটির লেখা এবং সুর দুটোই শিল্পী ডনের পরিশ্রমের ফল। গানটি নিয়ে শিল্পী ডন বেশ আশাবাদী। শ্রোতাদের ভিন্ন কিছু দিতে বরাবরই চেষ্টা থাকে তার। সালমার সঙ্গে গাওয়া দ্বৈত গানটিই শ্রোতাদের মনে ঠাঁই করে নেবে বিশ্বাস ডনের।

দেশের স্বনামধন্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক, মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন (গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস) পদে কর্মরত এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। পরিচয়পর্বের এখানেই ইতি নয়। এর পাশাপাশি ক্রীড়াপ্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক, সাবেক খেলোয়াড়, শিক্ষক- বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী তিনি। সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে যে আত্মপ্রকাশ করেছেন ডন; তার বয়স বছর দুই ছাড়িয়েছে। গত বছর করোনার শুরু থেকেই নিজের পুরনো প্রতিভাকে (গান) আরো একবার শাণিত করার, গান গেয়ে নিজেকে সকলের সামনে তুলে ধরার প্রয়াস চালান ডন।

তার এ যাত্রায় বন্ধুর হাতটি বাড়িয়ে দেন এটিএন বাংলার সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। নতুন নতুন কণ্ঠশিল্পী তৈরিতে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা এবং এর কর্ণধার ড. মাহফুজুর রহমানের সুখ্যাতি সকলের জানা। নতুন শিল্পী ইকবাল বিন আনোয়ারের পথচলাও এই এটিএন বাংলাতেই। তবে এটিএন বাংলার তালিকাভূক্ত শিল্পী হতে কঠিন এক পরীক্ষা দিয়ে; সেখানে পাশ নম্বর পেয়ে তবেই নির্বাচিত হয়েছেন ডন। এটিএন বাংলা চ্যানেলে গত বছর রোজার ঈদে প্রথমবারের মতো একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাদার শিল্পী হিসেবে পথচলা শুরু ইকবাল বিন আনোয়ার ডনের।

ডনের মা তো ছেলের গানের বিরাট ভক্ত। পরামর্শকও। ডন আবার নিজের মাকে গানের ওস্তাদ বলেও মানেন। বাড়িতে যখন গান করেন, সেখানে সামান্য ভুল-ত্রুটি হলে মা সঙ্গে সঙ্গে ধরে বসেন। এতটুকু ভুলত্রুটিও মায়ের কান এড়ায় না। ভালোবেসে গানের জগতে পা রাখা হলেও এখন পেশাদার হিসেবে নিয়মিত গানের প্রোগ্রাম করছেন। সালমার সঙ্গে ডুয়েটে গেয়ে নিজের সঙ্গীত প্রতিভাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিলেন ডন।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত লোকগীতি দিয়ে সঙ্গীত ভুবনে পা রাখা জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মৌসুমি আক্তার সালমার। সালমা নামেই যিনি সমধিক পরিচিত। কুষ্টিয়ার মেয়ে সালমা গীতিকবি লালন শাহের বিরাট ভক্ত। সালমার গায়ে লালনের ছোঁয়া সুস্পষ্ট। ২০০৬ সালে বাংলার সঙ্গীত জগতে আবির্ভূত হন তিনি। দেখতে দেখতে এই জগতে প্রায় ১৫টি বছর পার হয়ে গেছে তার। ২০০৬ সালে গানের রিয়েলিটি শো তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ- প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন সালমা। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক অ্যালবাম বের করে, গান গেয়ে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সালমার অন্যান্য গানের মতো শিল্পী ডনের সঙ্গে জুটি বেঁধে গাওয়া গানটিই দর্শকরা লুফে নেবেন বিশ্বাস এ শিল্পীর।

ইউকে/এএস