বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ বর্তমানে মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পশ্চিমা বাতাস জোরালো হচ্ছে। ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে কয়েক দিন ধরে চলা ভাপসা গরম বিদায় নিয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুখ বলেন, ‘লঘুচাপ কিছুটা দূরে সরে গেলেও পশ্চিমা বাতাসের প্রভাবে বৃষ্টিপাত থাকবে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। সাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
গতকাল সোমবার দুপুর থেকেই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরন থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে দুই দিন ধরে আটকা পড়েছে তিন শতাধিক পর্যটক। তারা গত শনিবার ট্রলারে করে দ্বীপে বেড়াতে যায়। সাগর উত্তাল থাকায় এবং স্থানীয় ৩ নম্বর সতর্কসংকেত থাকায় গতকালও কোনো ট্রলার দ্বীপ থেকে ছেড়ে যায়নি। তবে সেন্ট মার্টিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, গতকাল বিকেলের দিকে আবহাওয়া কিছুটা ভালো থাকায় ট্রলারগুলো ছাড়তে অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় কোনো ট্রলার দ্বীপ ছাড়তে চায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘দ্বীপে রয়ে যাওয়া পর্যটকদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সে জন্য আমরা সব সময় খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে অনেকে ফিরতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে। আশা করছি, সাগরের অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে মঙ্গলবার সকালে পর্যটকরা দ্বীপ ছাড়তে পারবে। পাশাপাশি সেন্ট মার্টিনের কিছু মানুষ টেকনাফে আটকা পড়েছে, তাদেরও খোঁজখবর রাখছি আমরা।’
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, দ্বীপে তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় তাদের দেখভাল করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন কাজকর্মে এবং একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়ে সেন্ট মার্টিনের পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা টেকনাফে আটকা পড়েছে। তাদেরও ফেরার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ইউকে/এএস