ঘৃণাত্মক বক্তব্য নিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করল ফেসবুক

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ফেসবুক অ্যালগরিদম শুধুমাত্র অল্পকিছু ঘৃণাত্মক বক্তব্য সরায় বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছে কোম্পানিটি। এই ধরনের পোস্ট সনাক্ত করতে এবং নামানোর জন্য কোম্পানি অন্যান্য পদ্ধতির পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম ব্যবহার করে বলেও জানিয়েছে তারা।

এদিকে এর আগে, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে) জানায়, ফাঁস হওয়া নথিগুলি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে,প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপত্তিকর সামগ্রীর খুব ছোট শতাংশই সরানো হয়েছে। ফেসবুক অবশ্য জোর দিয়ে বলেছিল, এটি তার প্ল্যাটফর্মে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য কমাতে সাম্প্রতি সাফল্য দেখেছে। ফাঁস হওয়া ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ নথিতে দেখা গেছে, এর কর্মীদের একটি দলের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, কোম্পানিটি নিজস্ব নিয়ম ভঙ্গকারী মাত্র ১ শতাংশ পোস্ট অপসারণে সফল হয়েছে। এ বছরের মার্চে একটি অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন থেকে জানা যায়, ফেসবুকের স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি ঘৃণাত্মক বক্তব্যের মাত্র ৩ থেকে ৫ শতাংশ পোস্টগুলি সরাতে পেরেছে।

এদিকে ফেসবুক ঘৃণামূলক বক্তব্য মুছতে ব্যর্থ হচ্ছে এটা তারা মানতে রাজি নয়। ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই রোজেন একটি ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, এই সেক্টরে ফেসবুকের অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য একটি ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। রোজেন আরো উল্লেখ করেছেন, ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিস্তার, সাইটে এই ধরনের সামগ্রীর পরিমাণ, ব্যবহারকারীদের দ্বারা দেখা সমস্ত সামগ্রীর শতকরা হিসাবে হ্রাস পেয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা বর্তমানে ০.০৫ শতাংশ, বা প্রতি ১০ হাজার পোস্টের ভেতর পাঁচটি তারা দেখেছে। এবং গত নয় মাসে ৫০ শতাংশ কমেছে।

“আমরা অভ্যন্তরীণভাবে কিভাবে আমাদের কাজ পরিমাপ করি, এবং সেই কারণেই আমরা একই মেট্রিক বাহ্যিকভাবে ভাগ করি” জনাব রোজেন আরও উল্লেখ করেন, তারা ব্যবহারকারীদের রিপোর্ট করার আগেই ৯৭ শতাংশেরও বেশি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা অ্যালগরিদম দ্বারা সক্রিয়ভাবে সনাক্ত কতে পেরেছে।

সূত্র: বিবিসি।

ইউকে/এএস