জাতিসংঘে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন স্মরণে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়।স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর শেখ রাসেলে জীবন বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি শহীদ শেখ রাসেলে জন্ম দিবসকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশের শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্বন্ধে আরও জানতে পারবে যা তাদেরকে মানবতাবাদী ও অধিকারবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যত নাগরিকে পরিণত করবে। শহীদ শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বই ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ পড়ার জন্য প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের প্রতি আহবান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

রাষ্ট্রদূতের স্বাগত বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন শেখ রাসেল দিবস উদযাপনের মাধ্যমে তার স্মৃতি আজীবন সকলের মধ্যে বেঁচে থাকবে যা শিশু-কিশোরদের নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করবে।

পরে কেক কাটার মাধ্যমে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।

ইউকে/এএস