ঈদে মিলাদুন্নবীতে নিরাপত্তা জোরদার

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: গুজব ও উসকানি ছড়িয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে এবার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ঘিরেও কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ এই দিবস উপলক্ষে কোথাও যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে আগে থেকেই নজরদারি করছে পুলিশ। বিশৃঙ্খলা এড়াতে মসজিদের বাইরে কোথাও মিছিল-সমাবেশ বা জড়ো হয়ে অনুষ্ঠান করতে দেবে না তারা।

গোয়েন্দা তথ্য আছে, ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে বর্তমান পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত চলছে। এ জন্য পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্ক করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মানুষের সমাগম শান্তিপূর্ণ রাখতে বিশেষ টহলও দেবে পুলিশ ও র‍্যাব। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গুজবের কারণে যাতে সহিংসতা না ছড়াতে পারে সে জন্য নজরদারির পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। গত সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে সবাইকে গুজব ও বিভ্রান্তি না ছড়াতে সতর্ক করা হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবীতে (সা.) তেমন বিশেষ কোনো সতর্কতা থাকে না। সাধারণ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এবার অনেক বেশি নজরদারি আছে। গোয়েন্দা তথ্যের পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ নিরাপত্তা ছক সাজিয়েছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে দেশের বাইরে থেকেও আলেম-উলামাদের দাওয়াত দেওয়া হয়। তাঁরা বাংলাদেশে এসে ওয়াজ করেন। বিষয়গুলো এক ধরনের মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে।

আরেক কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে গুজবকে কেন্দ্র করে কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। তাই উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে যেন আবার পরিস্থিতি ঘোলাটে না করা হয় সে ব্যাপারে নজরদারি করা হচ্ছে।

গত সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) কামরুজ্জামান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের পর্যবেক্ষণ করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ যেকোনো মাধ্যমে গুজব বা বিভ্রান্তি না ছড়াতে এবং অযাচাইকৃত সংবাদ বিশ্বাস না করতে সবার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।

ইউকে/এএস