এলডিসির দেশগুলোতে টিকা প্রযুক্তি হস্তান্তরের আহ্বান

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: এলডিসির দেশগুলোতে টিকা প্রযুক্তি হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি এবং জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ আয়োজিত যৌথসভায় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এলডিসির দেশগুলোতে কোভিড-১৯ অতিমারির ভয়াবহ প্রভাবের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা এর থেকে উত্তরণে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব এবং উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণে পর্যাপ্ত সম্পদ সরবরাহের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, কোভিড টিকা প্রাপ্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবধান পুনরায় এলডিসি’র দেশগুলোকে পেছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যেখানে উন্নত দেশগুলো প্রায় শতভাগ টিকা দেওয়া নিশ্চিত করার কাছাকাছি সেখানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এই হার শতকরা ২ ভাগেরও কম। এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে এলডিসির দেশগুলোতে টিকা প্রযুক্তি হস্তান্তরই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা।

বাণিজ্য ব্যবস্থা ও উৎপাদন সক্ষমতাগুলোর মধ্যকার আন্তঃসম্পর্কের প্রতি আলোকপাত করে বিশ্ব বাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজারে দেশগুলোর পূর্ণ প্রবেশাধিকারের সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোকে যাতে পুনরায় এলডিসি ক্যাটাগরিতে ফিরে যেতে না হয়, তা প্রতিরোধে এসব দেশে যে বিশেষায়িত ও আলাদা বাণিজ্য সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে তার মেয়াদ আরও কমপক্ষে ১২ বছর বাড়ানো উচিত।

উন্নয়নের উচ্চতর ধাপে পদার্পণের বিষয়টি তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামোগত রূপান্তর প্রক্রিয়া সুদৃঢ় করতে এলডিসির দেশগুলোর প্রয়োজন প্রণোদনাভিত্তিক কৌশল ও নীতিগত সহায়তা যা তাদের কাঙ্ক্ষিত উত্তরণ নিশ্চিত করতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। এটাই হলো সব স্বল্পোন্নত দেশের প্রত্যাশা, আর যে আকাঙ্ক্ষা পূরণই হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও উন্নয়ন অংশীদারদের লক্ষ্য।

এবছরের যৌথ সভার প্রতিপাদ্য ছিল, ‘স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ, উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর কোভিড-১৯ পরবর্তী আরও অধিক স্থিতিশীল পুনরুদ্ধার ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণ। প্রতিপাদ্যটি ‘সুযোগ’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘বিনিয়োগ’ ও ‘সহযোগিতার মতো বিষয়গুলোকে নতুনভাবে উন্মোচন করার সুযোগ এনে দিয়েছে যা সত্যিকারভাবেই এসব দেশগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণে প্রয়োজন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রে বর্তমানে এলডিসি-৫ এর প্রস্তুমূলক কমিটির কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন।

ইউকে/এএস