বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত থাকলেও স্কুল শিক্ষার্থীদের তালিকা না পাওয়ায় ১২-১৭ বছর বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে চলতি মাসেই শিশুদের ওই টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ এবং ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’-এর কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। জাহিদ মালেক বলেন, শিশুদের টিকার নিবন্ধন হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা পাঠানোর পর আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। একই সঙ্গে টিকা দেওয়া চলতে থাকবে। এ ক্ষেত্রে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে তালিকা ও নিবন্ধন হলে এর পরদিন থেকেই টিকা দেওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে গতকাল ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ এবং ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ উপপ্রতিনিধি ডা. জামশেদ মোহাম্মদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামীকাল ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’। আর ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ ৩০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এই দুটি কাজেও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল শিক্ষার্থীরা। এবারের জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে চার কোটি শিশুকে ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইউকে/এএস