নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে চর মাজারদিয়া সীমান্তে মিঠু (২৫) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বলছেন- ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এর গুলিতে মিঠুর মৃত্যু হয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং থানা পুলিশের বরাত দিয়ে এখনও এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।
নিহত মিঠু রাজশাহী পবা উপজেলার দামকুড়া থানার চর মাজারদিয়া গ্রামের মঞ্জুর হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় মোটরসাইকেল রাইডার ছিলেন। পদ্মার চর এলাকায় তিনি মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করতেন। বর্তমানে তার মরদেহ সীমান্ত এলাকাতেই রয়েছে। দামকুড়া থানা পুলিশের একটি ইউনিট তার মরদেহ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন- সীমান্ত এলাকায় একটি গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে কীভাবে সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বুধবার (২৭ অক্টোবর) ভোরের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরে সকালে মরদেহ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর নিহতের মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করবে।
এরপর ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। মিঠু বিএসএফের গুলিতে না দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছে সেই বিষয়টি তদন্ত ছাড়া এখনই বলা সম্ভব নয় বলেও জানান- দামকুড়া থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-১ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদও একই কথা বলেন। মিঠু বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন- সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের সিও বলেন- মিঠু মোটরসাইকেল রাইডার ছিলেন। পদ্মার চরে মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করতেন। তিনি ওই এলাকার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে। মিঠুর গুলিবিদ্ধ মরদেহ ঘটনাস্থলেই আছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তাদের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান- এই বিজিবি কর্মকর্তা।
ইউকে/এসই