রাজশাহীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাংবাদিকদের মারপিট, ক্যামেরা ছিনতাই ও ভাংচুরের চেষ্টা এবং দৈনিক সানশাইনের স্টার রিপোর্টার রাজু আহমেদকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এরই মধ্যে দায়েরকৃত মামলার আসামি মহানগরীর শিরোইল এলাকার ফারুক আহম্মেদ (৪৫), মঠপুকুর এলাকার রেজাউল করিম (৩২) ও বড়বনগ্রাম এলাকার লিয়াকতকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের দুপুরের মধ্যেই আদালতে পাঠানো হবে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মোহনপুর উপজেলার বিদিরপুরের মাজহারুল ইসলাম চপল (৩৫), শাহীন সাগর (২৮), মহানগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার রাজন (৩৮), কাজলা ধরমপুরের আফসারের ছেলে আল-আমিন হােসেন (২৮), মতিহারের অক্ট্রয় মােড়ের শাহীনুর রহমান সােনা (৩৬), চারখুটার মোড়ের আবু কাউসার মাখন (৪০), কুমারপাড়ার শামসুল ইসলাম (৩৫), সুমন হােসেন (৩৪), মোন্নাফের মোড়ের সুভাষ (২৫), উপশহরের হারুনুর রশিদ (২৪), টিকাপাড়ার সাগর নােমানী (৩৮)।এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার (৩১ অক্টোবর) সকালে মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে একটি মানববন্ধন থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় লঞ্ছিত করা হয়- রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ চারজন সাংবাদিককে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাজশাহীর মূল ধারার সাংবাদিকরা অপসংবাদিতকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন।

তারা সবাই শহীদ কামারুজ্জামান চত্বরে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। পরে সকাল থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন কর্মসূচি চলে। সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে দ্রুত অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। এরপর ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোববারের আন্দোলনের পর অন্য হামলাকারীও গ্রেফতার হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আর পুলিশ কমিশনার বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মনকে প্রত্যাহার করতে তিনদিন সময় চেয়েছেন। আমরা ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে ওসি প্রত্যাহার না হলে বুধবার দুপুর ১২টায় বোয়ালিয়া থানা ঘেরাও করা হবে। ওসি নিবারন চন্দ্রের মদদেই এই হামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই সাংবাদিক নেতা।

আরও পড়ুন>>
রাজশাহীতে অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে আন্দোলন

ইউকে/আরএস