বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সামি এম সাজিদ নামের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর আটকে রেখে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ছাদে তাকে আটকে রেখে র্যাগিং করা হয়।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী সামি এম সাজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- নাট্যকলা বিভাগের আব্দুল্লাহ্ আল মাসুদ, তপু, রুবেল প্রমুখ।
সামি এম সাজিদের সহপাঠীরা জানান, শুক্রবার দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে নিজ ব্যাচের মেসেঞ্জার গ্রুপে একটি মেসেজ পাঠান সাজিদ। সেখানে লেখা ছিলো- আমি ডিপার্টমেন্ট ছেড়ে যাচ্ছি। গতকাল সারারাত আমাকে জোহা হলের ছাদে আটকে রেখে বিভাগের কতিপয় সিনিয়র ও অপরিচিত লোকজন গালাগালিসহ বিশ্রিভাবে মারধর করেছে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ভোর চারটায় আমাকে ছেড়ে দেয়। কোনো অপরাধ না থাকা সত্ত্বেও আমাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করেছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। পরে সেখানে বিভাগের শিক্ষকরা গিয়ে দেখভালের জন্য সাজিদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
তবে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মাসুদ র্যাগিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গতরাতে জোহা হলের ছাদে বিভাগের বড়ভাই ও প্রথম বর্ষের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন ছিলেন। সাজিদকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।
নাট্যকলা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুজ্জামান বলেন, আমি যতটুকু শুনেছি বিভাগের বেশিকিছু সিনিয়র শিক্ষার্থীকে সাজিদকে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করেছে। মানিসকভাবেও তাকে বেশ হ্যারেজ করা হয়েছে। তবে যারা করেছে তাদের সবার নাম আমাদের এখনো হাতে আসেনি। বিষয়টি পুরোপুরি জানার পর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি এ ঘটনার তদারকি করছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
ইউকে/এসই/আরএস