নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রিন সিটি, ক্লিন ও হেলদি সিটি রাজশাহীর অন্যতম বিনোদন এলাকা পদ্মাপাড়। রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম পর্যটন এলাকা পদ্মাপাড়। বিনোদনের অন্যতম এ এলাকাটি আরও আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করতে পদ্মাপাড়কে ঘিরে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। এ লক্ষ্যে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন পদ্মাপাড়ের লালনশাহ পার্ক মুক্তমঞ্চ এলাকায় চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেছেন। এর আগে লালনশাহ পার্ক তীরবর্তী পদ্মায় জেগে উঠা চর এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতেই দেশের বিভিন্ন এলাকার নাগরিকদের আনাগোনায় মুখর থাকে এ পদ্মারপাড়। এমন সৌন্দর্য্যরে কারণেই বিনোদন প্রেমীদের আড্ডা জমে পদ্মাপাড়ে।
দশর্ণার্থীদের সুবিধার্থে গণশৌচাগার নির্মাণ, নদীর ধার পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াতে চলাচল রাস্তাটি সংস্কার, বীচবাইক স্থাপন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে পুলিশবক্স নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে রাসিকের প্রকল্প পরিচালক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এভাবেই রাজশাহী মহানগরীকে এভাবে পর্যটন নগরী রূপে গড়ে তুলছেন।
পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় জেগে ওঠা চরে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হবে। এলক্ষ্যে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় জেগে ওঠা চর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনকালে লালনশাহ পার্ক এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম জোরদারকরণ সহ পার্ক এলাকা ব্যাপকভাবে সবুজায়ণে বিভিন্ন প্রকার গাছ লাগাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন মেয়র।
ইতোমধ্যে পদ্মাপাড়কে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ও পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় আরেকটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধনে করা হয়েছে নান্দনিক গ্রাফিতি। রং তুলির আচড়ে ওভারব্রিজ দুটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিকভাবে। এ রকম বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে পদ্মাপাড়কে আরও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করা হচ্ছে পদ্মাপাড়কে।
পরিদর্শনকালে রাসিকে প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ৯নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর রাসেল জামান, রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমেদ আল মঈন পরাগ, সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার সরকার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোকাম্মেল আলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফররুখ আহমেদ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ইউকে/এসই/আরএস