নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৫নং গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হযরত আলী। কিন্তু তার পক্ষের ফলাফল গভীর রাতে পরিবর্তন করে পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী মজিবর রহমানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর ভাটাপাড়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এর প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান প্রার্থী হযরত আলী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
তিনি জানান, গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এই নির্বাচনে তিনি ৫১৪ ভোটে জয়লাভ করেন। অত্র ইউনিয়নে ১০ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল সিট অনুযায়ী তিনি ৯৮০১ ভোট পান। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মজিবর রহমান (নৌকা প্রতিক) পান ৯২৮৭ ভোট। প্রতিটি ফলাফল সিটে নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার স্বাক্ষর করেন এবং সিলমোহর দেন। তিনি বলেন, এই ইউনিয়নে খুব সুন্দরভাবে আনন্দ মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। কোথাও কোন গোন্ডগোল হয়নি। ভোটারগণ নির্বিঘ্নে তাদের মতামত প্রদান করেছেন।
তিনি আরও জানান, তার বিজয় সম্পর্কে পুরো ইউনিয়নবাসী জানেন। শুধু তাই নয় বিজয় নিয়ে বিভিন্ন নিউজ পোর্টালেও খবর প্রকাশিত হয়। এরপর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কার্যালয় হতে বেসরকারীভাবে চুড়ান্ত ফলাফল দেয়ার পূর্বে গড়িমসি শুরু করেন নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং রিটার্নিং অফিসার। তারা ফলাফল দিতে নানা ধরনের তাল বাহানা শুরু করেন।
এক পর্য়ায়ে রাত ২টার পরে ফলাফল পাল্টে দিয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানকে ( নৌকার প্রার্থী) নির্বাচন অফিসার বিজয়ী বরে ঘোষণা করেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান এবং তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি করেন।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান মজিবরের অন্যান্য অত্যাচার ও দুর্নীতি থেকে বাঁচতে দলমত নির্বিশেষে ইউনিয়নবাসী তাকে নির্বাচন করার জন্য বলেন। তাদের কথা রাখতে এবং ইউনিয়নের উন্নয়ন এবং জনসেবা সঠিকভাবে করার জন্যই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো সরকারী দলীয় এমপি ও নেতারা অত্যন্ত জঘন্য মনমানষিকতার পরিচয় দিয়ে তাকে আবারও জোর করে পরাজিত করেন। আর সেইসাথে পরাজিত দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বিজয় ঘোষণা করেন।
এই সকল ষড়যন্ত্র জনসমক্ষে তুলে ধরে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আকুল আবেদন জানান তিনি। সেই সাথে আবারও তার প্রার্থীতা ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ইউকে/এসএস