তানোরের সার ডিলাদের সিন্ডিকেট, ক্ষুব্ধ কৃষকরা

তানোর (রাজশাহী) সংবাদদাতা: রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউপির বিসিআইসির সার ডিলার সুলতান আহম্মেদের বেপরোয়া সিন্ডিকেটে অথিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কৃষকরা। ফলে দিনের পর দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থেকেই মিলছেনা কাঙ্ক্ষিত সোনার হরিণ নামক সার।

আবার সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে কৃষকের সার কৃষি অফিসের বিএসএফ বিপ্লবের নামে ২০০ বস্তা সারের মেমো কেটে চোরায় ভাবে দিতে গেলে সার নিতে আসা ব্যক্তিদের তোপের মুখে দিতে পারেন নি। ফলে কৃষকের সার নিয়ে চলছে মহা কারসাজি। এতে করে আলু রোপণ হবে কিনা এসব নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। অথচ প্রান্তিক চাষিরা সার না পেলেও প্রজেক্ট করা ব্যক্তিরা ঠিকই পাচ্ছেন সার।আবার এসময় লাগবে পটাশ টিএসপি কিন্তু জোর পূর্বক ভাবে দেওয়া হচ্ছে ইউরিয়া সার, যার এখন কোন প্রয়োজন নেই।

জানা গেছে, উপজেলায় ধানের পরে আলু চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। এতে কোন বছর লোকসান আবার কোন বছর লাভ করছেন। কিন্তু আলুর তৈরির আগ থেকেই প্রায় প্রতি বছরেই সার নিয়ে শুরু হয় মহা সিন্ডিকেট। এসিন্ডিকেটের কবলে পড়তে প্রান্তিক চাষিদের।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার কলমা ইউপির বিসিআইসির সার ডিলার শাহ এন্টার প্রাইজে গিয়ে দেখা লম্বা লাইন ধরে সার নিচ্ছেন। তাদের কয়েকজনের সাথে কথা বলা হলে তারা জানান কৃষি অফিসের বিএস বিপ্লবের নামে ২০০ বস্তা সারের মেমো কেটে ডিলার সুলতান তাকে সার দিতে লাগলে আমরা বাধা দিই। এর প্রেক্ষিতে ডিলার দোকান বন্ধ করে চলে যান। পরে আজিজপুর মোড়ের সার ব্যবসায়ী নজরুলের মাধ্যমে সার দেওয়া শুরু করেন। কৃষকরা আরো জানান আমাদের ইউরিয়া সারের কোন প্রয়োজন নেই, তারপরও বাধ্য করছেন নিতে। ইউরিয়া সার না নিলে নজরুল কোন সার দিবেনা। অথচ আজিজপুর মোড়ে নজরুলের গোডাউনে অভিযান দিলেই ব্যাপক সার ধরা পড়বে।

নাম প্রকাশ না করে বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, আমরা ফজরের নামাজের পর দাড়িয়েও সার পাচ্ছিনা, আর নজরুল স্বজনপ্রীতি করে আজিজপুরের লোকদের আগে দিচ্ছেন সার এবং বিএসএফকে সার দেওয়ার সময় আমরা ইউএনও সারকে ফোন দিলে স্যার লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

তবে নজরুল অভিযোগ অস্বীকার করে কোন ধরনের সদ উত্তর না দিয়ে আবল তাবল কথা বলা শুরু করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

ইউকে/এসএম