বাঘায় ফুটপাতের দোকানে বাড়ছে গরম পোশাকের কদর

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঘা (রাজশাহী): হেমন্তের বাতাসে শীতের আভা। মনে করিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। এই আগমন বার্তায় শীতের পোশাক নিয়ে ফুটপাতে হাজির হয়েছেন বিক্রেতারা। শীতের তীব্রতা না বাড়লেও এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বেচা কেনাও।

বিশেষ করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরম পোশাকের কেনাকাটা বাড়ছে। উপজেলা সদরে,বাঘা পৌর এলাকার বাঘা বাজার সংলগ্ন বাঘা শাহী মসজিদ ওয়াকফ্ এষ্টেটের মাঠ জুড়েই নতুন-পুরাতন গরম পোষাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। সস্তার বাজার হিসাবে আগে থেকেই পরিচিতি রয়েছে এখানকার কাপড়ের দোকানীদের।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সরেজমিন বাঘা বাজার সংলগ্ন পুরাতন কাপড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, খোলা আকাশের নীচে জিন্সের প্যান্ট, জ্যাকেট, ব্লে¬জার, মাফলার, মোজা, সোয়েটার ও গেঞ্জিসহ শিশুদের শীতের পোষাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশাপাশি ধনী পরিবারের অনেকে এ সব দোকানে কেনা কাটা করতে আসছেন। তবে ক্রেতারা বলছেন দাম বেশ চড়া। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন উপজেলার অন্য মার্কেটের তুলনায় এখনও এখানে কাপড়ের দাম কম। ভালো মানের জাম্পার ২’শ টাকা থেকে ৩’শ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এগুলো পুরনো হিসেবে বিদেশ থেকে আনা। অন্যদিকে উপজেলার বাঘা,আড়ানী,দিঘা ও মনিগ্রামসহ বিভ্ন্নি হাট বাজারের ফুটপাতেও শীতের গরম কাপড় কম বেশি বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাত ব্যবসায়ী মোবারক,সাইফুল,বাবু জানান, শীতের আগমনে নারি, পুরুষ ও শিশুদের পুরাতন পোষাক আমদানি করছেন। এখন বিক্রি কম হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। শীত মৌসুমে একেকটি দোকানে প্রায় ৫ হাজার টাকার বেশি করে বিক্রি হবে।
স্ত্রীকে সাথে নিয়ে শীতের গরম পোষাক কিনতে এসেছেন আনোয়ার হোসেন। বাঘা বাজারের সামনে ফুটপাত মার্কেটে কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, নিজের ও বাড়ির ছেলে মেয়েদের জন্য আগাম ৫টি গরম পোষাক কিনেছেন সাড়ে ৭’শ টাকা দিয়ে। অন্য মার্কেটের চাইতে এখানে দাম কিছুটা কম বলে মনে হয়েছে তার। তবে গত বছরের চেয়ে বেশী।

ইউকে/এএইচ/এসআর