নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ বাঁচাতে নদী-পুকুর, দীঘি খাল ও জলাশয় নিয়মবহির্ভূত ইজারা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। তা না হলে পরিবেশ দূষণ বাড়তেই থাকবে। এছাড়াও বন, ইটভাটা ও শিল্পদূষণ রোধ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজশাহীর মাস্টারশেফ রেস্তোরাঁয় মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দিনব্যাপী নেটওয়ার্ক সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভার মূল প্রবন্ধে এই দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এই নেটওয়ার্ক সভার আয়োজন করে। সভায় রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, বগুড়া ও দিনাজপুরের পরিবেশ সচেতন প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সভায় পরিবেশ দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের প্রতি চাপ সৃষ্টির বিষয়ে মতামত তুলে ধরা হয়। এতে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. রেদওয়ানুর রহমান।
তিনি ধারণাপত্রে কিভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং পরিবেশ দূষণের কারণসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, নদী-পুকুর, দীঘি খাল ও জলাশয় নিয়মবহির্ভূত ইজারা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে পরিবেশ দূষণ বাড়তেই থাকবে। এছাড়া ইটভাটার কালো ধোঁয়া শিল্প দূষণের অন্যতম কারণ বলেও উপস্থাপন করা হয়।
ধারণাপত্রে বলা হয়, প্লাস্টিক বর্জ্য বা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এসব বর্জ্য বন্ধে আইনগতভাবে প্রশাসনকে চাপ দিয়ে দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তাই এজন্য জনসচেতনতা তৈরী করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
দিনব্যাপী এই নেটওয়ার্ক সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক তন্ময় সান্যাল।
পরে অংশগহণকারীরা গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয়তা, ভবিষ্যত করণীয় ও সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে মতামত তুলে ধরেন।
ইউকে/এসএম/আরএস