নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুলাভাইয়ের নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছেন তাঁরই শ্যালক। নৌকা প্রতীক প্রার্থী দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে শ্যালক শাহাদাত হোসেন সাব্বির ভোটে জিতে গেছেন। এ নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা।
শাহাদাত তাঁর দুলাভাই কামরুল হাসান রাজের চেয়ে এক হাজার ৮৯ ভোট বেশি পেয়েছেন। কামরুল দর্শনপাড়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি প্রথমবার চেয়ারম্যান হন।
কামরুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এবার ইউপি নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন পান কামরুল। তবে ‘বিদ্রোহী’ হন তাঁরই শ্যালক শাহাদাত। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ইউপি নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে রোববার অনুষ্ঠিত দর্শনপাড়া ইউনিয়নের এই নির্বাচনে মোট ছয়জন প্রার্থী ছিলেন। তবে ‘আনারস’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকেই বেছে নিয়েছেন ভোটারেরা। এ নিয়ে বেজায় খুশি শাহাদাত।
শ্যালকের এ জয় মেনে নিয়েছেন দুলাভাই কামরুল হাসান রাজ। সোমবার সকালে তিনি বলেন, ‘ভোটারেরা রায় দিয়েছেন, আমি মেনে নিয়েছি।’ ভোটের আগে শ্যালকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে কামরুল বলেন, ‘শুধু আমি না, সবাই আলোচনা করেছে। এমপি সাহেবও কথা বলেছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।’
নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাব্বির বললেন, ‘দুলাভাইয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আমাদের পারিবারিক সম্প্রীতি ঠিকই আছে। রাজনীতি এক জিনিস, আত্মীয়তা আরেক জিনিস। ভোটে আমি জিতে গেলেও পারিবারিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। অভিজ্ঞ দুলাভাইয়ের পরামর্শ নিয়েই আমি পরিষদ চালাতে চাই।’
ইউকে/এসই