জলবায়ু পরিবর্তনে বরেন্দ্র অঞ্চলে মরুময়তা স্পষ্টত হচ্ছে, পরিস্থিতি উত্তরণের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তনে বরেন্দ্র অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেখা দিয়েছে অনাবৃষ্টি ও মরুময়তা। তাই বরেন্দ্রের এ নেতিবাচক প্রভাব উত্তরণে সক্ষমতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। এজন্য বাস্তব জীবনমুখী প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে জলবায়ুর পবির্তন নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোজন সক্ষমতা ও সমস্যাসমূহ চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়।

কর্মশালায় বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং সরকারি পর্যায়ে আসন্ন ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যানে স্থানীয় সমস্যা ও আভিযোজনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ভলান্টারি অর্গানাইজেশনের (সিসিবিভিও) আয়োজনে এবং বিএফডিডাব্লিউ ও সিপিআরডি, ডায়কোনিয়ার সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ভুক্তভোগী বরেন্দ্রভূমির মানুষসহ অংশগ্রহণকারীরা এ অঞ্চলে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবসমূহ ও পরিবর্তনে সমাধানের উপায় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরেন।

রাজশাহীর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিসিবিভিও’র নির্বাহী প্রধান সারওয়ার-ই-কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিআরডি’র সিনিয়র গবেষণা সহকারী আকিব জাবেদ। মূল প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং সরকারি পর্যায়ে আসন্ন ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যানে স্থানীয় সমস্যা ও আভিযোজনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

কর্মশালায় দলগতভাবে পানি, কৃষি, নারী ও স্বাস্থ্য বিষয়ে অংশগ্রহণকারীরা সমস্যা চিহ্নিত করেন এবং পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করেন। আদিবাসীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কেমন তা আলোচনার মাধ্যমে খুঁজে বের করেন অংশগ্রহণকারীরা। তাছাড়া আলোচনার মাধ্যমে অভিযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও করণীয় বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় সিসিবিভিও’র রক্ষাগোলা কর্মসূচির বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

দিনব্যাপী কর্মশালাটি পরিচালনা করেন সিপিআরডি’র গবেষণা সহকারী শেখ নূর আতায়া রাব্বী।

ইউকে/এসএম