নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য অধিকার সুনিশ্চিতে তথ্য কমিশনের জনবান্ধব ভূমিকা রাখা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। আজ রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর এসিডি সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প’ শীর্ষক কর্মসূচির স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা হয়। তথ্য অধিকার ও বাস্তবতার আলোকে ওই সভায় উপস্থিত বক্তারা এই মন্তব্য করেন।
ইউএসএআইডি এবং দ্যা কার্টার সেন্টার এর সহযোগিতায় অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডির আয়োজনে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- রাখেন এসিডি পরিচালক (প্রোগ্রাম) শারমিন সুবরিন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ২০২০ এর সেপ্টেম্বর থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড এবং গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ও মাটিকাটা ইউনিয়ন ও তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া ও সরনজাই ইউনিয়নে তথ্য সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে তাদের এই প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকতর সক্ষম করে তোলা, জাতীয় ও কর্ম এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে কার্যকর এবং শক্তিশালী করার পাশাপাশি তথ্যে প্রবেশাধিকার বাড়ানো ও ব্যবহারে নাগরিক সমাজ সংগঠন ও তথ্য অধিকার নেটওয়ার্কসমুহকে শক্তিশালীকরণের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এসিডির প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর সুব্রত কুমার পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হুসেন খান, বোয়ালিয়া মেট্টোপলিটন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঈদ আলী রেজা, গোদাগাড়ী উপজেলা ‘তথ্য আপা’ রাফেজা তাবাসসুম।
সভা শেষে সবাইকে ধ্যনবাদ জ্ঞাপন করেন- দ্যা কার্টার সেন্টারের ‘তথ্য বন্ধু’ তানিয়া পারভীন।
বক্তারা বলেন, নাগরিক-বান্ধব আইন হিসেবে স্বীকৃত তথ্য অধিকার আইনের সফলতা বাড়াতে এবং প্রসারে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা এবং তথ্য কমিশনের জনবান্ধব ভূমিকা জরুরী। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠী এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীতে অনুশীলনের মাধ্যমে তাদেরকে তথ্য অধিকার আইনের প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে।
কার্যক্রমের প্রান্তিক পর্যায়ে প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তথ্য অধিকার আইনের ইতিবাচক প্রভাব ও শিক্ষণ নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে দলভিত্তিক আলোচনা মাধ্যমে কার্যক্রমের সবল ও দুর্বল দিকসহ চ্যালেঞ্জগুলো উঠে আসে একই সাথে আগামীদিনে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন করেন।
প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর সুব্রত কুমার পাল “বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প” এ যে সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে তা মাল্টিমিডিয়ায় সকলের সামনে উপস্থাপন করেন।
অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, কমিউনিটির নেতা, নারী নেতৃ, তরুণ-যুবা নারী, পিছিয়ে জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে নিজনিজ মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
ইউকে/এসই