‘লকডাউন’ দেখতেই রাস্তায় মানুষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে রাজশাহী মহানগরে চলছে কঠোর লকডাউন। সাতদিনের এই লকডাউনের তৃতীয় দিনে রোববার নগরীতে মানুষের চলাচল একটু বেশি দেখা গেছে। অতি উৎসাহী মানুষ কেবল লকডাউন কেমন হচ্ছে তা দেখতেই বাহিরে বের হচ্ছেন।

তবে লকডাউন বাস্তবায়নে আজও নগরজুড়ে বাড়তি তৎপরতা দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।লকডাউনের কারণে নগরীর বিপণী বিতান ও অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। নগরীর প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে বেশি। পশ্চিম দিক থেকে নগরীতে প্রবেশের প্রধান পয়েন্ট কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় পুলিশের বাড়তি তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া পূর্বে তালাইমারী মোড়েও পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে। টহলে আছেন র‌্যাব সদস্যরাও।

এরপরও নগরীতে রাস্তায় মানুষের চলাচল দেখা গেছে আগের দুই দিনের চেয়ে বেশি। কিছু কিছু রিকশা-অটোরিকশাও চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং কাঁচাবাজারের জন্য দুপুরে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় মানুষের বেশ উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে সন্ধ্যার পর নগরী একেবারেই ফাঁকা দেখা যাচ্ছে। রাস্তায় থাকছে না কোন যানবাহন, থাকছে না মানুষেরও চলাচল।

দিনভর মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে থাকছে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শনিবার লকডাউন না মানায় ৫৭ জনের কাছ থেকে ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববারও অভিযান চলছিল।

লকডাউন দিয়ে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, লকডাউনের কেবল দুইদিন হলো। এখনই পার্থক্য বোঝা যাচ্ছে না। এখন হাসপাতালে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে কিংবা রোগী ভর্তি হচ্ছেন তাঁরা লকডাউনের আগেই আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ১৪ দিন লকডাউন দিলে পরিস্থিতির অনেক উন্নয়ন হবে। সাতদিনের লকডাউনে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে থাকছে সেটা দেখার পর নিশ্চয় প্রশাসন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ইউকে/এসই/এসএম