খবরটি পড়া যাবে ২ মিনিটে
বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ইতালির ২৬ বছর বয়সী পর্নো তারকা ক্যারল ম্যালতেসি ওরফে শার্লট অ্যাঞ্জিকে হত্যার পর মরদেহ এক মাস ফ্রিজে রাখা হয়। এরপর আগুনে পুড়িয়ে টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দী করে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ। পুলিশের অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। খবর ডেইলি মেইলের।
এমন ভয়াবহ খুনে অভিযুক্ত ৪৩ বছর বয়সী ডেভিড ফন্টানা নামে ব্যাংককর্মীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। আটকের পর তিনি অবশ্য নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। এরপর তদন্তে বেরিয়ে আসে আরও নৃশংস তথ্য।
হত্যার ভয়াবহ ঘটনা তুলে ধরে ডেভিড ফন্টানার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পর্নো ছবির অভিনেত্রী ক্যারল ম্যালতেসিকে এক মাস আগেই খুন করেছিল ডেভিড। তারপর মরদেহ রেখে দেন ফ্রিজে। এক মাস পর মরদেহটি বের করে পুড়িয়ে, টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে আসে রাস্তায়। ডেভিডের বিরুদ্ধে নৃশংস খুন, প্রমাণ নষ্ট করা, মরদেহ লোপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
তদন্তের পর পুলিশ আরও জানায়, পর্নো ছবির ওই অভিনেত্রী ডেভিডের প্রতিবেশী ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল। পুলিশের ধারণা, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর কুপিয়ে তরুণীকে খুন করেন ডেভিড। তারপর চারটি বস্তায় ঢুকিয়ে পোড়া দেহাংশ ফেলে আসে রাস্তায়।
খণ্ডিত মরদেহটি দেখে শনাক্ত করেন ক্যারল ম্যালতেসির এক অনুরাগী। মার্চ মাসের মাঝামাঝি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল ওই পর্নো তারকার। ওই অনুষ্ঠানে ম্যালতেসি যোগ না দেওয়ায় সন্দেহ হয় অনুরাগীর। পুলিশকে তাঁরা বিষয়টি জানালে দেহাংশগুলো ম্যালতেসির বলে শনাক্ত করা হয়।
ইতালির মিলানের বাসিন্দা ম্যালতেসি পর্নো পেশায় আসার আগে এক সুগন্ধীর দোকানের কর্মী ছিলেন। একটি ওয়েবসাইটে নিয়মিত পর্নো কনটেন্ট পোস্ট করতেন ওই অভিনেত্রী। এরপর থেকেই পর্নো ছবির দুনিয়ায় পা রাখেন ম্যালতেসি। ছয় বছরের একটি মেয়েও রয়েছে তার।
ইউকে/আরএস