ক্রীড়া বিভাগ: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হবে কোন দুটি দল- এরই মধ্যে জানা হয়ে গেছে। লিভারপুল এবং রিয়াল মাদ্রিদ। প্যারিসের স্টেডে ডি ফ্রান্সে আগামী ২৮ মে শিরোপা লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে এই দুই দল। মজার বিষয় হলো, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের জন্য ২৮ মে লিভারপুল এবং রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাঠে নামবে অন্তত আটজন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। ক্লাব পর্যায়ের একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে নির্দিষ্ট একটি দেশের এতগুলো ফুটবলার একসঙ্গে মাঠ কাঁপাবে- বিস্ময়করই বটে।
তবে আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে নেই একজনও আর্জেন্টাইন ফুটবলার। লিভারপুল এবং রিয়াল মাদ্রিদে যে কোনো আর্জেন্টাইন ফুটবলারই নেই!
২৮ মে ফাইনালের জন্য লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ যে একাদশ বাছাই করতে পারেন, তাদের মধ্যে থাকবেন তিন ব্রাজিলিয়ান। গোলরক্ষক অ্যালিসন, মিডফিল্ডার ফ্যাবিনহো এবং স্ট্রাইকার ফিরমিনো। এই তিনজনকে ছাড়া তিনি সেরা একাদশ কল্পনাই করতে পারেন না।
অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি যে একাদশ নির্ধারণ করবেন, তাদের মধ্যে থাকবেন ৫ ব্রাজিলিয়ান- এডার মিলিতাও, মার্সেলো, ক্যাসেমিরো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং রদ্রিগো।
মার্সেলো এবং ক্যাসেমিরো হলেন মিডফিল্ডের প্রাণ, অন্যদিকে আক্রমণভাগে বেনজেমার সঙ্গে সমানতালেই লড়াই করে যাচ্ছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং রদ্রিগো। ম্যানসিটির বিপক্ষে রদ্রিগোর জোড়া গোলেই ফাইনালের টিকিট কেটেছে রিয়াল। আর মিলিতাওকে ছাড়া তো ডিফেন্স কল্পনাই করতে পারেন না আনচেলত্তি।
সুতরাং, দুই দল মিলিয়ে একই দেশ ব্রাজিলের যদি আটজন ফুটবলার খেলতে নামেন একসঙ্গে, তাহলে ব্যাপারটা হবে সত্যিই অসাধারণ।
ব্রাজিল ছাড়া রিয়াল এবং লিভারপুল- দুই দলে স্পেনেরও রয়েছেন ৮ জন ফুটবলার। লিভারপুলে রয়েছেন ২ জন- থিয়াগো আলকানতারা এবং গোলরক্ষক আদ্রিয়ান। এ ক্ষেত্রে অ্যালিসন গোলরক্ষ হিসেবে মাঠে নামলে আদ্রিয়ানকে বসে থাকতে হবে সাইড বেঞ্চে।
রিয়ালে খেলেন ৬ স্প্যানিশ ফুটবলার। ডিফেন্ডার দানি কার্ভাহল, হেসুস ভ্যালেজো, নাচো, মিডফিল্ডার লুকাস ভাসকুয়েজ, দানি ক্যাবেলস, ইসকো এবং ফরোয়ার্ড মার্কো আসেনসিও। এই ৬ জনের মধ্যে আনচেলত্তির সেরা একাদশে জায়গা পেতে পারেন সর্বোচ্চ ৩-৪ জন। বাকিরা থাকবে সাইডবেঞ্চে।
গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানসিটি এবং চেলসি। দুই দলের হয়ে দুই ব্রাজিলিয়ান একসঙ্গে মাঠে নেমেছিলেন। সিটির হয়ে গোলরক্ষক এডারসন এবং চেলসির হয়ে ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। তবে সিটির হয়ে পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নামেন ব্রাজিলের আরো দুই ফুটবলার ফার্নান্দিনহো এবং গ্যাব্রিয়েল হেসুস। আর্জেন্টিনার একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। তিনিও মাঠে নামেন পরিবর্তিত হিসেবে।
অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন লিগের ইতিহাসে ১০০০ গোল করার রেকর্ড গড়লেন ব্রাজিলিয়ানরা। রদ্রিগোর ২ গোলের সুবাধে এই রেকর্ড অর্জন করে ব্রাজিলিয়ানরা। ৮০৩ গোল করে এই তালিকার ২য় স্থানে ফ্রান্স, ৭৯৮ গোল করে ৩য় স্থানে জার্মানি।
ইউকে/আরএস