নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বেলপুকুরে রেললাইনের পাশ থেকে নিখোঁজ কলেজ ছাত্র হাসিবুর রহমান সাগরের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেলপুকুর থানা পুলিশ ওই কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বেল।
এর আগে সিআইডি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
নিহত হাসিবুর রহমান সাগর রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানার বেলপুকুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে। তিনি উপজেলার বেলপুকুর আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। গত দুদিন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের কথা জানিয়ে বেলপুকুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।
নিহতের বাবা সাহাদ আলীর বরাত দিয়ে রাজশাহীর বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন সাগর নাটোরের লালপুরের গ্রীণভ্যালী পার্কে বেড়াতে যান। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে সে আর বাড়ি ফিরেননি। ওই দিন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। তার সন্ধান না পয়ে বেলপুকুর থানা সাধারণ ডায়েরি করা হয়। শুক্রবার ভোরে নিখোঁজ হাসিবুলের মা ও খালা ছেলের খোঁজে বের হন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বেলপকুর রেলগেটের
পূর্ব পাশে সিগন্যালের সামনে হাসিবুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে বেলপুকুর থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
রূজশাহীর বেলপুকুর থানার ওসি আরও জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমেই আলামত সংগ্রহের জন্য সিআইডিকে খবর দেন। পরে রাজশাহী থেকে সিআইডি টিম গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। আর ঘটনাস্থল জিআরপি থানার অধীনে। তাই জিআরপি থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এখন পরর্বতী আইনি ব্যবস্থা তারাই গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের মরদেহ ফুলে গেছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- কলেজ ছাত্র হাসিবুরকে দুইদিন আগে হত্যার পর তার মরদেহ এখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে।
ইউকে/আরএস