বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও মানসিক চাপ বাড়িয়ে তুলছে জীবনের ঝুঁকি। শরীরে থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, প্রতি বছর ১.৫ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে শরীর ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন করতে পারে না। অন্যদিকে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে, শরীর ইনসুলিনের প্রতি ভালভাবে সাড়া দেয় না।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের অভাব এবং জিনগত কারণের সমন্বয়ে তৈরি হয়। এছাড়াও বয়স বৃদ্ধি, ঘুমের অভাব ইত্যাদি অনেক কারণও রয়েছে এর পিছনে। সেই সঙ্গে এই রোগ ধরা পড়লে জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়। আর যদি তা না করা হয়, তা হলে শরীরে বাসা বাঁধে আরও অনেক রোগ। আপনি চাইলে সঠিক খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এর পাশাপাশি পান করুন করলার রস।
করলা স্বাদে তিতা হতে পারে, তবে এতে চারটিন এবং মোমরডিসিনের মতো উপাদান রয়েছে। নিয়মিত পান করলে এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। করলার সক্রিয় পদার্থগুলি চারাটিন এবং মোমোরডিসি কোষের রক্তের অণুগুলিকে উদ্দীপিত করে, ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়ায় এবং পেশীতে গ্লাইকোজেন সংশ্লেষণকে উদ্দীপিত করে। এছাড়াও করলা শরীরে গ্লুকোজ শোষণ কমাতে সাহায্য করে।
২০১১ সালের জার্নাল অফ এথনি ফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, করলার হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব রয়েছে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে পাওয়া ফ্রুক্টোসামিনের মাত্রা হ্রাস করে। একই সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে করলার রসের হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাবও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও তিক্ত স্বাদের কারণে অনেকেই এটি পান করতে চান না। তবে চাইলেই আপনি এর তিক্ত স্বাদ দূর করতে পারেন। করলার তিক্ততা দূর করতে আপনি এতে অন্যান্য ফল ও সবজি যোগ করতে পারেন। চেষ্টা করুন এই ফল ও সবজি যেন ডায়াবেটিস বান্ধব হয়। এর জন্য শসা, লেবুর রস এবং হলুদের গুঁড়া যোগ করতে পারেন। এছাড়াও অন্য কিছু যোগ করার আগে সেটি সম্পর্কে ভাল করে জেনে নিন। তবে এই তিনটি উপাদান যোগ করে আপনি করলার রস তৈরি করতে পারেন।
এই তিনটি উপাদানই পুষ্টিতে ভরপুর। শসার মধ্যে যে উপাদানগুলো পাওয়া যায় তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এতে বিশেষ হরমোন রয়েছে, যা অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যবহার করে। এছাড়া এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও কমায়।
লেবুর রসে কথা বললে ডায়াবেটিস রোগীরা কোনও চিন্তা ছাড়াই এটি খেতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে এতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীরকেও ডিটক্সিফাই করবে। এছাড়াও হলুদে থাকা ভিটামিন সি-তে প্রদাহ বিরোধী গুণ রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
ইউকে/আরএস