বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকারি অধিদপ্তরটি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. মো. বেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বেলাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল বুধবার সারা দেশের জেলা সিভিল সার্জনদের সঙ্গে বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখানে অনিবন্ধিত যত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, সেগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব মনিটরিং, মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে এবং ঢাকার বাইরে জেলা সিভিল সার্জনদের নেতৃত্বে একইভাবে তদারক করা হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সভায় চারটি সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহ বন্ধ করতে হবে, কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে (সকল) যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করেছে কিন্তু নবায়ন করেনি, তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য একটি সময়সীমা প্রদান করতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন গ্রহণ না করলে সেই সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে অপারেশন করার সময় এনেস্থেসিয়া প্রদান এবং ওটি এসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সেই সব প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে, তাদের লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স পওয়ার আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে দেশে অনিবন্ধিত কতটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার মেডিকেল অফিসার ডা. দেওয়ান মো. মেহেদি হাসান বলেন, ‘এটি আমার জানা নেই। নিশ্চয়ই অধিদপ্তরের কিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে।’
ইউকে/এসএস