বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আহ্বান

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বিপুল ঘাটতি কমাতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি করে পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের সফররত একদল ব্যবসায়ী।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে কলকাতায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এমন আহ্বান জানান। এতে উভয় দেশের শিল্পপতিরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য–সম্পর্ক আরও জোরদার করার পক্ষে মত দেন। তাঁরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগের সুযোগ–সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারের আলোচনায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি উঠে আসে। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও ভারত সেভাবে আমাদের দেশের পণ্য আমদানি করে না, যা আমরা ভারত থেকে নিয়মিত করে থাকি। ফলে ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘটতি থেকেই যাচ্ছে। তাই আপনারা বাংলাদেশের পণ্য আমদানি করলে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে। এতে বাংলাদেশে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে।’

সেমিনারে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি বলেন, ‘প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। এর অধিকাংশই আসেন চিকিৎসার জন্য। তাই আমরা চাই, ভিসাপ্রক্রিয়া আরও সহজ করা হোক।’

কলকাতায় আইসিসির নিজস্ব কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইসিসির সভাপতি প্রদীপ সুরেখা। আলোচনায় অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ানুর রহমান, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস প্রমুখ।

সেমিনারের আলোচকদের প্রায় সবাই একই কথা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশকে আরও যত্নবান হতে হবে। উভয় দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি–রপ্তানি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া দুই দেশের শিল্পপতিদের পারস্পরিক বাণিজ্যের স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে, আরও বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশের পণ্য ভারতকে আরও বেশি করে আমদানি করতে হবে।

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার বলেন, ‘উভয় দেশেরই শিল্পোন্নয়নের যথাযথ পরিবেশ ও সম্ভাবনা এবং বিনিয়োগের সুযোগ–সুবিধা রয়েছে। এই সুযোগ–সুবিধা আমাদের কাজে লাগিয়ে দুই দেশকেই এগোতে হবে।’

রিজওয়ানুর রহমান বলেন, ২০২০-২১ সালে আমাদের দুদেশের মধ্যে ৯৯০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হবে, এই বাণিজ্যকে আরও বাড়ানো।

ইউকে/এসএস