ঘরে ঘরে জ্বর, সতর্কতার পরামর্শ

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: রাজধানীসহ সারা দেশের ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশির বৃদ্ধির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কেউ ভুগছেন করোনায়, আবার কেউ বা ডেঙ্গু জ্বরে। পাশাপাশি মৌসুমী জ্বর ও শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশনজনিত জ্বরেও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। শরীরের যে কোনো সংক্রমণ বা প্রদাহের কারণে জ্বর হতে পারে। অন্যান্য কোনো রোগের কারণেও হতে পারে জ্বর। তবে সাধারণত ঋতু বা আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ভাইরাস জ্বরই বেশি হয়ে থাকে। এসব জ্বরে সাধারণত ওষুধ খেলেই রোগী ভালো হয়ে যাচ্ছে, তবে জ্বর চার দিনের বেশি থাকলে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।

বর্তমান সারাদেশে জ্বর, সর্দি, কাশির বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, দেশজুড়ে মানুষ এখন জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং ক্রমবর্ধমান হারে এই জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এসব জ্বরের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে, করোনা, ডেঙ্গু, সাধারণ ভাইরাসজনিত জ্বর এবং শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ।
এছাড়াও বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিবাহিত টাইফয়েড জ্বরও দেখা যাচ্ছে। করোনা, ডেঙ্গু, সাধারণ ভাইরাসজনিত জ্বরের লক্ষণ শুরুর দিকে প্রায় একই রকম। তাই এসব রোগের শুরুর দিকে কোনটা কী ধরনের রোগ, কী কারণে জ্বর হচ্ছে এটা বোঝা কঠিন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে যদি কারো জ্বর হয়, তার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। চিকিৎসক এক বা দুইটা পরীক্ষা করে বুঝতে পারবেন কী কারণে জ্বর হয়েছে এবং সে কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন। যদি করোনা বা ডেঙ্গু জ্বর হয়, তাহলে করোনা এবং ডেঙ্গুর চিকিৎসা করবেন। ডেঙ্গুর জ্বরের জটিলতা এড়ানোর জন্য মাঝে মাঝে রক্তের প্লাটিলেট পরীক্ষা করে কোনো রক্তক্ষরণ হচ্ছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন। শ্বাসতন্ত্রের রোগে প্রয়োজনে বুকের এক্সরে করে দেখবেন। এভাবেই চিকিৎসক জ্বরের কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন।

জ্বর হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। একটি সাধারণ জ্বরের অবহেলা থেকে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

ইউকে/আরই