বিনোদন বিভাগ: হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পপ শিল্পী ও নির্মাতা ফেরদৌস ওয়াহিদ। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দিনগত রাতে হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি।এরপর দ্রুত তাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এখন তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন। এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।
এ বিষয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদের পুত্র হাবিবের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আরেকটি সূত্র বলছে, অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এরইমধ্যে ফেরদৌস ওয়াহিদকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ফেরদৌস ওয়াহিদ। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছেন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। ৭০ বছর বয়সী এ সংগীতশিল্পী কয়েক বছর ধরে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
তিনি সেই সত্তরের দশকে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। জীবনের এ সময়ে এসেও সমান তালে গানে গানে সবাইকে মাতিয়ে যাচ্ছেন এ কিংবদন্তি।
১৯৫৩ সালের ২৬ মার্চ মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর থানায় জন্ম নেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। তার বাবা ওয়াহিদ উদ্দিন আহমেদ ও মা উম্মে হাবিবা নূরজাহান। ছয় ভাই, তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
ফেরদৌস ওয়াহিদ গান শেখা শুরু করেন ওস্তাদ মদনমোহন দাশের কাছে। পরে লোকসঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন আব্দুল আলিমের কাছে। ক্লাসিকাল গান শেখেন ওস্তাদ ফজলুল হকের কাছে।
তিনি প্রথম সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেন দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘আসামী হাজির’ সিনেমায়। সিনেমাটির নির্মাতার লেখা ও আলম খানের সুর সঙ্গীতে সাবিনা ইয়াসমিন সঙ্গে ‘আমার পৃথিবী তুমি’ গানটি করেছিলেন তিনি।
সিনেমায় তার অনান্য আলোচিত গানের মধ্যে রয়েছে ‘ওগো তুমি যে আমার কতো প্রিয়’, ‘আমি এক পাহারাদার’,‘ শোন ওরে ছোট্ট খোকা’, ‘আমি ঘর বাঁধিলাম’ ইত্যাদি।
চলচ্চিত্রের বাইরে ফেরদৌস ওয়াহিদের গাওয়া আলোচিত গান হচ্ছে ‘মামুনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘এমন একটা মা দেনা’, ‘তুমি আমি যখন একা’, ‘খোকা’। এছাড়াও তার পনেরোর অধিক একক অ্যালবাম রয়েছে।
গানের বাইরে অভিনয় ও পরিচালনা করেছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। ১৯৯৮ সালে আবুল হোসেন খোকন পরিচালিত ’ভয়ঙ্কর বদমাশ’ সিনেমাতে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেন তিনি। এরপর তার নিজের নির্মিত সিনেমা ‘কুসুমপুরের গল্পতেও অভিনয় করেছেন। এছাড়াও কয়েকটি টেলিফিল্মও নির্মাণ করেছেন বরেণ্য এ তারকা।
ইউকে/আরই