কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: কুষ্টিয়া-ঝিনাইদাহ মহাসড়কের ১১ মাইল ও কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগর এলাকায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ১২জন গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জন দৌলতপুর উপজেলার শশীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা সবজি চাষি এবং অপরজন ট্রাকের হেলপার।

নিহতরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার শশীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা বারিক দফাদারের ছেলে গাফ্ফার (৩৮), আজিল প্রামাণিকের ছেলে সানোয়ার (৪০) এবং জাহিদ (৩২)। এরা সবাই সবজি বোঝায় ভ্যানের আরোহী।

পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে কুষ্টিয়া থেকে তিন সবজি চাষি বাঁধাকপি বোঝায় করে একটি ভ্যানে রাজবাড়ী যাচ্ছিলেন। এসময় আলাউদ্দিন নগরে পৌঁছালে অপরপ্রান্ত থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের বহনকারী একটি স্যালোইঞ্জিন চালিত ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজি বোঝাই ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।

এতে ভ্যান ও ভটভটি উল্টে গিয়ে দুমরে-মুচরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন ভ্যান আরোহীর মৃত্যু হয়। এছাড়া শ্রমিক বহনকারী ভটভটি আরোহীদের মধ্যে গুরুতর আহত ৯ জন শ্রমিক এবং ভ্যান আরোহী একজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার ভোরে কুষ্টিয়া ঝিনাইদাহ মহাসড়কের ১১মাইল নামক স্থানে ঝিনাইদহে থেমে থাকা একটি ট্রাকে পেছন দিক থেকে অপর একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে মফিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মফিজুল থেমে থাকা ট্রাকের হেলপার বলে জানা গেছে। তিনি নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার ইমদাদুল হকের ছেলে।

পৃথক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী জানান, সংবাদ পেয়ে পৃথক দুটি ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে আহত ও নিহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ইউকে/এইচপি/এসএস