বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা সেতুর ওপরে নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু দেশের ১৮টি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে দেশের অর্থনীতি চাঙা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এ সেতুতে দেশের গার্মেন্টস ও আমদানি রফতানি শিল্পেও আসবে ব্যাপক গতি। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শীতলক্ষ্যা সেতুতে নির্মিত তৃতীয় এ সেতুর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সদর উপজেলা ও বন্দর উপজেলার মাধ্যমে সংযোগ তৈরি হচ্ছে।
এই সেতুতে সংযুক্ত হচ্ছে দেশের ১৮টি জেলা। এর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সেতু দিয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করেই চট্টগ্রাম যাতায়াত করতে পারবেন দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলসহ ৮ জেলার বাসিন্দারা।
সংযুক্ত করা জেলাগুলো হলো- নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও ঝিনাইদহ, খুলনা, বাগেরহাট, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি। এসব জেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এই সেতুতে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ঢাকায় প্রবেশ ছাড়াই এ সেতু ব্যবহারে চট্টগ্রাম যাতায়াত করতে পারবেন দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলসহ ৮ জেলার বাসিন্দারা। সেতুটি পূর্বে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জকে পশ্চিমে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এর ফলে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সঙ্গে পদ্মা সেতুর সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। সেতুটি উদ্বোধনের পর দেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য ভাবে চাঙা হবে। বিশেষ করে গার্মেন্টসহ অন্যান্য শিল্পপণ্য খুব সহজে চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় দ্রুত পৌঁছে যাবে। এছাড়া শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জে কমবে ভয়াবহ যানজট।
তিনি আরো জানান, সেতুটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক ইত্যাদি থেকে খুলনা, যশোর, বেনাপোল, মোংলা, বরিশাল এবং অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের জন্য মদনগঞ্জ-সৈয়দপুর-মুক্তারপুর, মুন্সীগঞ্জ-টঙ্গীবাড়ী-লৌহজং ও মাওয়া হয়ে মোগরাপাড়া, মদনপুর, কাঁচপুর ও ডেমরাকে সংযুক্ত করবে। সেতুটি চালু হলে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। তখন দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের যানবাহনগুলোকে নারায়ণগঞ্জ শহরে না ঢুকে মদনপুর হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া দিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে পারবে।
প্রকল্পটি ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদন পায়। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি।
ইউকে/এসএম