শিক্ষিকা হত্যায় ভাতিজা গ্রেফতার

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রোকশানা খানম (৫২) হত্যার ঘটনায় তার ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাতকে (১৯) গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (০৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ডি ব্লকের ২৮৫ বাসার দ্বিতীয় তলায় নিজ ঘর থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নিহত শিক্ষিকার ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাতকে ওই একই বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে তাকে শিক্ষিকা হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

নওরোজ কবির নিশাত নিহত স্কুল শিক্ষিকা রোকশানা খানমের ভাই মৃত এ কে এম নূরে আসলামের ছেলে। তারা শিক্ষিকা যে ভবনে থাকতেন সেই একই ভবনের ৬ষ্ট তলায় থাকতেন। নিঃসন্তান হওয়ায় নিশাতকে শিক্ষিকা রোকশানা নিজের ছেলের মতো করে লালন-পালন করতেন।

কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ দুপুর ১২টার সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাতিজা নিশাতকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে তার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শিল উক্ত বাসার ফিফ্ট ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিশাত মাদকাসক্ত এবং অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল। এ বিষয়ে জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং এ বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

আটকের আগে নওরোজ কবির নিশাত জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুপু রোকশানা খানমকে তারা ডাকতে গিয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে লক করা। অনেক ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ তাদের দরজা ভেঙে ফেলার জন্য বলে।

কয়েকজন মিলে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান দোতালার দক্ষিণ পাশের শয়ন কক্ষের বিছানার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ পড়ে রয়েছে। মাথায় জখমের চিহ্ন। ওই ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড়, ড্রয়ার সবকিছু ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রসঙ্গত: সোমবার (০৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ডি ব্লকের ২৮৫ বাসার দ্বিতীয় তলায় তার শয়ন কক্ষ থেকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রোকশানা খানমের (৫২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান যশোর চৌগাছা উপজেলা এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকায় তিনি যশোর থাকেন। রোকশানা খানম একা ওই বাসায় থাকতেন।

ইউকে/এসএম