নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে অন্যকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ২ জন চাকরিপ্রার্থী। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁদের ১৫ দিনের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পরিকল্পনা বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে নিয়োগের ভাইভা বোর্ডে এ ঘটনা ঘটে। দণ্ডিতরা হলেন, মহিদুল ইসলাম (২৯) ও আবদুল রাশেদ (২৫)।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে যান মহিদুল ইসলাম (২৯)। সেখানে অন্যকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মধুখালী গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে আজ দুপুরে একই পদের আরেক প্রার্থী আবদুল রাশেদ (২৫) ধরা পড়েন। তিনিও অন্য কাউকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ান। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁকেও ১৫ দিনের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হেদাতিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গত শুক্রবার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের তিনটি পদে নিয়োগের জন্য রাজশাহীতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল নিজেই ভাইভা বোর্ডে ছিলেন।
এ নিয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘এ দুই প্রার্থীর পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা খুব সুন্দর। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার সময় তাঁদের হাঁতের লেখার মিল পাওয়া যায়নি। এমনকি খাতায় থাকা সঠিক উত্তরও তাঁরা মুখে বলতে পারেননি। তখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা অন্যকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে দুজনকেই ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়।’
জেলা প্রশাসক আরও জানান, তাঁরা মোট ৬৫ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বসেছিলেন। রাশেদ ধরা পড়ে তাঁর কারাদণ্ড হওয়ায় আরও কয়েক জন ভাইভা বোর্ডের সামনেই আসেননি। দু’একজন অফিসের সামনে থেকে তড়িঘড়ি পালিয়ে গেছেন। সন্ধ্যায় মহিদুল এসে আবার ধরা পড়েন। অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলো বলে মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক।
ইউকে/এসএম