বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: রাজধানীর চিরচেনা তীব্র যানজট এড়িয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেজ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার দূরত্বের পথটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার। যদিও শুরুর দিকে ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলার কথা বলা হয়েছিল।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, মূল এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার এবং র্যাম্পে ৪০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলতে পারবে। কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত মাত্র ১২ মিনিটে পৌঁছতে পারবেন নগরবাসী।
তারা জানান, আগামী জুনে দ্বিতীয় ধাপে মালিবাগ, খিলগাঁও, কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বাকি অংশ চালুর কথা রয়েছে। তখন এক্সপ্রেসওয়ের পুরোপুরি সুবিধা পাবেন নগরবাসী।
জানা যায়, উদ্বোধনের পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলেও এতে সবাই চলাচল করতে পারবে না। পথচারী, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ তিন চাকার গাড়ি এতে উঠতে পারবে না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। তবে চলাচল করতে পারবে চার চাকার গাড়ি।
এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমোদন না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার যুগান্তরকে বলেন, দ্রুতগতিতে ও নিরাপদে যাতে গাড়ি চলাচল করতে পারে, সে জন্য দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। বর্তমানে মূল এক্সপ্রেসওয়ে ৬০ কিলোমিটার গতিতে বিরতিহীনভাবে গাড়ি চলবে। মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেলে ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
যদিও ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য চালু হওয়া ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার ধরা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ যান চালকরা এ নির্দেশনা মানছেন না। তারা ঘণ্টায় ১০০ হতে ১২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন। উচ্চগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এ এক্সপ্রেসওয়েতে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় যানজট এড়িয়ে চলার পথ খুলছে আজ
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার জানান, শুরুতে আমরা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু এ পথে মানুষের যাতায়াত অভ্যস্ত করতে গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু দিন ব্যবহারে অভ্যস্ত হলে আবারও ৮০ কিলোমিটারে ফিরিয়ে আনা হবে।
ইউকে/এএস